দোহারে সড়কের গাছ রাতের আধারে নিধন।

 মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:

দোহার উপজেলার ঢাকা টু দোহার সড়কের পাশে বড় হওয়া গাছগুলি রাতের আধারে নিধনের অভিযোগ পাওয়া যায়।এ ঘটনায় উপজেলা ফরেষ্ট কর্মকর্তা মো.মমতাজ উদ্দিনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সুত্রে জানা যায়,গত দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার জয়পাড়া ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর বড় তিনটি মেহগিনি ও নুরপুর এলাকার রড় ও সিমেন্ট বিক্রেতা মো.আবুল মোল্লার গোডাউন সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে দুইটি বড় মেগগিনি গাছ রাতের আধারে নিধনের ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে স্থানীয় কালাম ফরেস্ট কর্মকর্তা মো.মমতাজ উদ্দিনকে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি বলে জানান।সড়কের গাছ নিধন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী মো.হাসানের সাথে গাছ নিধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান,সড়কের গাছ যার যার বাড়ি সিমানায় পড়েছে তারা উপজেলা ফরেষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়ে গাছ কাটছেন।আমিও দুইটি গাছ ক্রয় করেছি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে। সম্প্রতি দোহার উপজেলা হয়ে শ্রীনগর পদ্মা বাইপাস প্রধান সড়কের উন্নয়নের কাজ করছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।সড়কের উভয়পাশে পাচ ফিট করে নতুন রাস্তার কাজ চলছে।রাস্তা প্রশস্থ হওয়ার কারনে সড়কে পাশে থাকা প্রায় পাঁচ শতাধিক কাঠ গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কতৃপক্ষ।কিন্তু দোহার উপজেলার রাস্তার পাশে গজে উঠা কাঠ গাছগুলি সঠিক সময়ে ফরেষ্ট কর্মকর্তা কতৃক চিহ্নিত না হওয়াতে এবং নিলাম সংক্রান্ত ব্যবস্থা না নেওয়াতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাতের আধারে রাস্তার পাশের গাছ নিধন করছে। এ বিষয়ে দোহার ফরেষ্ট কর্মকর্তা মো.মমতাজ উদ্দিন জানান,গাছ নিধনের বিষয়ে তার জানা ছিলো না।তিনি প্রতিবেদকের কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলেন।সোমবার তিনি সশরীরে গাছ নিধনের বিষয়ে তদন্তে নামবেন।গাছ নিধনকারীদের সনাক্ত করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন জানান,গাছ নিধনকারী কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না।দোহার টু ঢাকা সড়কের পাশের গাছ সরকারি গাছ।যা সরকারি টেন্ডার ছাড়া কেউ নিধন করতে পারবে না। দোহার,ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment