ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান আর ভারত স্বাধীনতা পাবার আগে থেকেই কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক শক্তিধর ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দু’বার যুদ্ধ হয়েছে। পুলওয়ামা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও তারা যুদ্ধংদেহি অবস্থানে।
‘ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স এ্যাক্ট’ নামে ব্রিটিশ ভারত বিভক্তির যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কাশ্মীর তার ইচ্ছে অনুযায়ী ভারত অথবা পাকিস্তান যেকোনো রাষ্ট্রেই যোগ দিতে পারবে।
কাশ্মীরের তৎকালীন হিন্দু মহারাজা হরি সিং চাইছিলেন স্বাধীন থাকতে অথবা ভারতের সাথে যোগ দিতে। অন্যদিকে পশ্চিম জম্মু এবং গিলগিট-বালতিস্তানের মুসলিমরা চাইছিলেন পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে।
২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাধিক সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলা হয়েছে। সবশেষ পুলওয়ামায় গত সপ্তাহে এক জঙ্গি আক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি আধাসামরিক পুলিশ সদস্য নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আবারও তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয় তাহলে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
ভারত বলছে, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে সব চেষ্টাই তারা করবে।
মনে হচ্ছে, দু দেশের সম্পর্ক উন্নত হবার যেটুকু আশা অবশিষ্ট ছিল, পুলওয়ামার আক্রমণের মধ্য দিয়ে সেটাও হয়তো শেষ হয়ে গেছে।
অপর দিকে বাংলাদেশের ভেতর শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদেরকে কক্সবাজার সংলগ্ন একটি দ্বীপে জায়গা করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এটি এ কারণেই যে, বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা মুসলিম জনসংখ্যার চাপ সামলানো খুব সহজ কাজ নয়। তাছাড়া বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এদেশে নিরাপদ থাকার জায়গা দেওয়া হলে সেটা মিয়ানমারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের এদেশে ঠেলে দেওয়ার। যা আসলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতিই এক ধরনের অবিচার হবে। অপরদিকে বাস্তবিক কারণেই এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলমানদের এদেশে স্থান দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সম্পদ ও স্থান বিচারে বাংলাদেশের তুলনায় মিয়ানমারের অবস্থা শতগুণ ভালো। সেখানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্থান সংকুলানে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়, অথচ বিষয়টিকে সে দেশের সরকার এমনভাবে দেখছে যেন, এই সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিতাড়িত করা গেলে রাষ্ট্রটি যেন বেঁচে যায়। সে কারণে পুলিশ, সেনা বাহিনী ও সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের যুগপৎ লেলিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎখাতের প্রচেষ্টা চলছে।
তবে এবার কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান লড়াই ও রোহিঙ্গা ইসু নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল এক যুবকের ইস্টেটাস । তার নাম শেখ আমিনুল ইসলাম জয়, পেশায় ছাত্র। তিনি তার ফেসবুকে কাশ্মীর ও রোহিঙ্গা ইসু নিয়ে এক ইস্টেটাস দেন ।
ইস্টেটাসে তিনি কাশ্মীর ও রোহিঙ্গা ইসু বলেন,
কাশ্মীর ইস্যুর সহজ একটি সমাধান রয়েছে,
কাশ্মীরের যে সকল মুসলমান আছে তাদেরকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হোক ,
কাশ্মীরের যে সকল হিন্দু আছে তাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক ।
আর আমাদের দেশের রোহিঙ্গাদেরকে কাশ্মীরে পাঠিয়ে দেওয়া হোক