মাদরাসা ছাত্রদের রক্ত পিওর, অন্যদের ৫০ ভাগও নেই: সংসদে কাজী ফিরোজ

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে মন্তব্য করায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির কড়া সমালোচনা করেছেন।

এমনকি সংসদে তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এক হাজার মাদরাসা ছাত্রের রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করি, আর অন্য ছাত্রদের রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করি, তাহলে দেখা যাবে মাদরাসা ছাত্রদের রক্ত পিওর এখানে কোন মাদকের চিহ্ন পাওয়া যাবে না।

আর অন্য ছাত্রদের রক্ত ৫০ শতাংশ পিওর পাব না। এতো মাদক ঢুকছে। কাজেই কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে কথা বলে অপমান করা হয়েছে। এই সংসদে কথাগুলো এক্সপাঞ্জ করবেন। অশান্ত পরিবেশ থেকে রক্ষা করুন।’

রোববার (১০ মার্চ) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাম না উচ্চারণ করে রাশেদ খান মেননকে ইঙ্গিত করে ফিরোজ বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য এর আগে মন্ত্রী ছিলেন, ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের কওমি মাদরাসা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। কওমি মাদরাসা নাকি একটা বিষ বৃক্ষ।

অথচ এই সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দাওরায়ে হাদিস সংসদে আইন পাস করলাম। এটা দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের একটা দাবি ছিল। কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতির জন্য যেটা ছিল যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত কওমি মাদরাসার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এখানে তো কোনো মোল্লা তত্ত্ব সৃষ্টি বা দেশ দখলের কিছু অনুভূত হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হেফাজতের আমির যিনি একজন বর্ষীয়ান নেতা। সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। তেঁতুল হুজুর বলে তাকে কটাক্ষ করা হয়েছে, বিদ্রুপ করা হয়েছে। এই ধরনের ধৃষ্ঠতা দেখানো ঠিক না। যারা সংসদে আসতে পারে না তাদের সম্পর্কে সংসদে কেনো এই ধরনের কথা বলব। দেশ তো শান্তিতে আছে। আমরা কেন শান্তির মধ্যে অশান্তির ঢিল ছুঁড়ে দেব।’

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আসলে কিছু বামপন্থি ঘরানার নেতা আছেন। তারা ইসলামের বিরেুদ্ধে কথা বলাকে ফ্যাশন মনে করেন। তারা মনে করে এটা বললে আল্ট্রা মডার্ন হয়ে গেলাম। মানুষ মনে করবে আমি সবচেয়ে বড় বিপ্লবী। ২০ হাজার মাদরাসায় ২০ লাখ ছাত্র লেখাপড়া করে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment