নবাবগঞ্জের তেলেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

নবাবগঞ্জের তেলেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

Sony showroom

বিপ্লব ঘোষ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি.
ঢাকার নবাবগঞ্জের ৪৬নং তেলেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠগ্রহন করছে শিক্ষার্থীরা। রয়েছে শিক্ষক সংকটও। এতে ব্যহত হচ্ছে ঐ এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার এক বছর পর ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয়। এরপর থেকে টিনকাঠের ক্লাস রুমে চলতো পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫কক্ষ বিশিষ্ট ২টি ভবনে চলছে শিক্ষাদান। এতে প্রাক-প্রাথমিকসহ ৩টি ক্লাস রুম রয়েছে। একটি কক্ষে অফিস ও একটি জীর্ণপরিত্যক্ত কক্ষ রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে ৩কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মিত হয়। পরে ২০০৯সালে ২কক্ষ বিশিষ্ট আরো একটি পাকা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে। এর ৩কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনটির ভীম ও কলামে ফাটল ধরেছে। দেয়ালের গাঁ থেকে পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। কয়েকটিস্থানে দেখা দিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল। শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে।

৩য় শ্রেণির ছাত্রী মদিনা জানায়, মাথার উপরে ফাটল। তাই ছাদের ভীমের ফাঁক দেখে বে বসানো হয়েছে। যাতে পলেস্তারা ভেঙে শরীরে না পরে। একই শ্রেণির আবু সুফিয়ান জানায়, শ্রেণি কক্ষের সংকট তাই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছি।
প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার জানান, ভবন সংকট তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অফিস কক্ষ থেকে সরে যেতে পারিনি। তার উপর রয়েছে শিক্ষক সংকট। আমি আর প্রাক-প্রাথমিকের অপরাজিতা চৌধুরী। সেও রয়েছে মাতুৃত্বকালীন ছুটিতে। উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষক খুরশিদা বেগমকে অন্য স্কুল থেকে অস্থায়ী নিয়োগ দিলেও সংকট কাটেনি। এতেও রয়েছে শিক্ষক সংকট। তাই এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত নারী দিয়ে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হিরু বলেন, এ অবস্থা গত কয়েক বছর ধরে চলছে। পরিবেশ ভালো না থাকায় শিক্ষার্থীরা পাশর্^বর্তী মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে। আমি সভাপতি হওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসে তাগিদ দিচ্ছিলাম।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান বলেন, একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নেয়া বন্ধ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ভবন পরিক্ষা করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment