১০ বছরেও উৎপাদনে আসেনি ২০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১টিও

দেশে সরকারি-বেসরকারি ২০টি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া চললেও কোনটিরই অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়- বিশ্লেষণ বিদ্যুৎ বিভাগের। এ বছরের শুরুতে অন্তত ৫টি কেন্দ্র উৎপাদনে যাবার কথা। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি অনেক কেন্দ্রের। অভিজ্ঞতার অভাব, সরকারি পরিকল্পনায় ত্রুটিসহ নানা কারণে এ অবস্থা, বলছেন জ্বালানি বিশ্লেষকরা। ফলে সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি

এক দশক আগেও দেশের বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিলো প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত। কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে সীমিত হয়ে আসে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই সুযোগ। এ অবস্থায় তরল জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে হয় সরকারকে। যার উৎপাদন খরচ গ্যাসের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। এ কারণেই গ্যাসের বিকল্প হিসাবে সরকার এখন আগ্রহী কয়লার দিকে।

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়। এ পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয় ছোটবড় মোট ২০টির। প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসার কথা এ বছরের শুরুতে। অথচ কাজ যেভাবে চলছে তাতে ওই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ লাগবে আরও অন্তত তিন বছর।

রামপাল ছাড়াও মাতারবাড়ি, পটুয়াখালি, মহেশখালী ও বাঁশখালি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় এসব কেন্দ্রের বিদ্যুৎ পেতে লাগবে আরো ৫-৭ বছর। শুধু এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা কেন্দ্রের আংশিক বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এ বছরের মধ্যে।অবশ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ধাপে ধাপে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক ২০ কেন্দ্র থেকে আগামী ৩ বছর পর প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা, কিন্তু এতেও আছে অনিশ্চয়তা, ধারণা বিশ্লেষকদের।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment