প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ধর্ষকরা। গত ১১ মার্চ টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।এ

ঘটনায় গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে মেয়েটি বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফী আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় জালাল (২৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতাকে রোববার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়,বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠে বসে প্রেমিক-প্রেমিকা গল্প করছিল। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই মেয়ের পরিচিত পাঁচ বন্ধু ওদের ফলো করে। এক পর্যায়ে ওই পাচঁ বখাটে মিলে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি গহিন বনে ঢোকে। নির্জন ওই বনের একটি খালি জায়গায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে ওরা বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে বলে ও ধর্ষণে লিপ্ত হতে চাপ দেয়। প্রেমিক-প্রেমিকা তা না করায় এক সময় সাদ্দাম হোসেন, মো. জালাল ও আশরাফুল ইসলাম প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। নজরুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন ধর্ষণের সুযোগ না পেলেও তারা ঘট

নাস্থলে উপস্থিত থেকে এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। মেয়েটির চিৎকারে এক ব্যক্তি টর্চ লাইট নিয়ে এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল যোগে ওই পাঁচ বখাটে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে বিচার হওয়ার চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে কোনো বিচার না পেয়ে গত শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফী আইনে মামলা করেন। রোববার সকালে জালাল (২৫) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জালালের কাছ থেকে ধর্ষণের ও প্রেমিক- প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করার ভিডিও উদ্ধার করে। বাকি আসামিদের কাছে আরও ভিডিও রয়েছে বলে পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়। মেয়েটির বাবা বলেন ,এ ঘটনায় জড়িত পশুদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে রোববার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হযেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment