(২) বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে। বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকগুলোর লোকসানের পাল্লা। এতে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে।
(৩) এ প্রসঙ্গে বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন সম্প্রতি রেডিও তেহরানকে বলেন, এভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লুটপাট চলতে থাকলে জনগণের উপর এ বোঝা চাপবে। জনগণের পকেট কেটে টাকা আদায় করা হবে। লুটপাটের আর্থনীতির বিরুদ্ধে সমাজের সচেতন মহল ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
(৪) তিনি আরো বলেন, একদিকে উন্নয়নের ফানুস উড়ানো হচ্ছে আর অন্যদিকে নৈতিক ও অর্থনৈতিক অধঃপতন হচ্ছে। জনগণের আমানত রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র তা করছে না বরং লুটেরাদের সাহায্য করছে সরকার।
(৫) অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বড় গ্রাহকদের একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে দেয়া উচিত নয়। ঋণ কেন্দ্রিভ‚ত হওয়া ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ নেয়া উচিত। একই সাথে বড় শিল্প গ্রুপের ঋণগুলো কঠোরভাবে তদারকি করা উচিত।