ক্রাইস্টচার্চের খুনির যাবজ্জীবন করাদণ্ড হবে, জানালেন নিউজিল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা করে ৫০ মুসলিমকে হত্যাকারী ব্রেনটন ট্যারেন্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। তবে দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ব্রেনটন টারান্টের ‘নজিরবিহীন’ সাজা হতে পারে । এএফপি, খালিজ টাইমস।

শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

নিউজিল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর ও লিনউড মসজিদে হামলা করে ৫০ জনকে হত্যা এবং ৫০ জনকে আহত করা বন্দুকধারীকে বাকি জীবন কারাগারে একা কাটাতে হবে।

তিনি মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, কোনো শাস্তির মানদণ্ডে তার অপরাধের মাত্রা তুলনা সম্ভব নয়, কিন্তু ভুক্তভোগীরা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবে। এ সময় তিনি নিহতদের প্রতি শোক জানানো নিউজিল্যান্ডের মানুষের একাধিক ছবি দেখান।

দেশটির আইনজীবী সাইমন কুলেনের মতে, ব্রেনটনের অপরাধ অনেক বেশি গুরুতর। কাজেই তাঁর ক্ষেত্রে হয়তো ১০ বছরের কারাবাসের পরও প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। এমনটা হলে এই সাজা হবে নিউজিল্যান্ডের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’।

নিউজিল্যান্ডে ১৯৬১ সালে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা হয়। দেশটিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সাজা আরও বেশি হলে ১০ বছর কারাবাসের পর প্যারোলে মুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনটি খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সর্বনিম্ন ৩০ বছরের কারাদণ্ডসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

ব্রেনটন তাঁর পক্ষে আদালতের নিযুক্ত আইনজীবীকে বাদ দিয়ে নিজেই আইনি লড়াই চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর পক্ষে আদালতের নিযুক্ত আইনজীবী রিচার্ড পিটার্স বলেন, ব্রেনটনের মধ্যে মানসিক বিকারের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কাজেই কী ঘটছে, তিনি হয়তো ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন।

১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে চালানো সন্ত্রাসী হামলা, বর্ণবাদ, বিদেশিদের সম্বন্ধে অহেতুক ভয় এবং ইসলামোফোবিয়ার কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসি সামিট চেয়ার হিসেবে তুরস্ক এই বৈঠক আহ্বান করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment