রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিট। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর জিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ছিল ভোটার শূন্য। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেখেই তৎপর হয়ে ওঠেন নৌকার ব্যাচ লাগানো কয়েকজন। ১০ মিনিটের মধ্যেই ৮-১০ জনকে জোগাড় করে ভোটকেন্দ্রে ঢোকানো হলো। রবিবার (২৪ মার্চ) তৃতীয় ধাপের নির্বাচন চলাকালে ওই কেন্দ্র মূহুর্তে আসা কয়েকজনের ঠিকানা জানতে চাইলে বলেন দক্ষিণ শিকারপুর। পরক্ষণেই আবার বলে অন্য এলাকা। এ সময় পাশে থাকা অপরজন হাতে টিপ দিলে তিনি চুপ হয়ে যান। এরপর তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ভোটারবীহিন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জয়ন্ত বেপারী জানান, এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৮৩৪ জন। সবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে তাই ভোটার উপস্থিতি নেই। তবে আশা করা যায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটরদের উপস্থিতি বাড়বে। সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ২০টি ভোট কাস্ট হয়েছে। প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। অনিয়ম করতে দেয়া হবে না। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে বরিশালের ৭ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া নদীবেষ্টিত এলাকায় টহল দিচ্ছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। এদিকে বরিশালের ১০ উপজেলার মধ্যে ৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও গৌরনদী এবং আগৈলঝাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান এবং পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় ৭ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওই জেলার ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি ৩টি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। উজিরপুর উপজেলায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ জন আনসার ও ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৬টি উপজেলায় ৩ প্লাটুন করে বিজিবি, নদীবেষ্টিত হিজলায় ৯ সেকশন (প্রতি সেকশনে ৭ থেকে ৮জন) কোস্টগার্ড এবং সকল উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের জন্য ভূয়া ভোটারের সমাগম!
