স্টাইল করে চুল, দাড়ি, গোফ কাটার ওপর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ আদেশ সরকারি বিধিমালায় পড়ে না বিধায় নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় তোলে চুলের স্টাইল নিয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনা। এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা সরকারি বিধিমালায় না থাকায় ওসির সঙ্গে আলোচনা করে সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ মার্চ ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, স্টাইলে চুল,দাড়ি, গোফ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সঙ্গে আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর আলোচনায় আসে। তবে এ ধরনের নীতি সরকারি বিধিমালায় না থাকায় তা নিয়ে সমালোচনায় শুরু হয়। ফলে জরিমানা ধার্যের যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সমালোচনার মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে শীল সমিতি সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত শুক্রবার রাতে আদেশটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।
ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল বলেন, ‘স্টাইল করে চুল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার খবর প্রচার হওয়ার পর ইউএনও আমাদের ডেকে নেন। ইউএনও’র কথায় সেটি প্রত্যাহার করা হয়। তার নির্দেশনায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ তুশীলরা এখন থেকে বখাটে স্টাইলে কারো চুল কাটবেন না।’
এ ব্যাপারে ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বখাটে স্টাইলে চুল কাটা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। পরে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শীল সমিতি একটি নোটিশ লিখে আনেন। তাতে আমি স্বাক্ষর করি। ফলে সেটি সরকারি আদেশ হিসেবে কার্যকর হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ হলে বিতর্ক দেখা দেয়। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সেই আদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে আদেশ প্রত্যাহার হলেও শীল সমিতির সদস্যরা কারো চুল স্টাইল করে কাটবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’