পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন

মৃত্যুর আগে যৌন নিপীড়নের প্রতিকার চাইতে গেলে ফেনীর সোনাগাজী থানার ওসির কক্ষে হয়রানির শিকার হন নুসরাত জাহান রাফি। তাকে মানসিকভাবে হেয়, অপদস্থ করার সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরালের ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

তিনি বলেছেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। থানায় প্রাথমিকভাবে নুসরাতের যে মানবিক মর্যাদাহানি করা হয়েছে, তারও বিচার হওয়া উচিত। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, সে পুলিশ হোক আর যেই হোক, তদন্ত করে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নুসরাতের নিপীড়নের অভিযোগ গ্রহণকালে পুলিশের ন্যক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে কাজী রিয়াজুল হক গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে আমরা যে অভিযোগগুলো পাচ্ছি, নিঃসন্দেহে তা অমানবিক ও অপরাধ। কারণ কেউ অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ভিকটিমকে হেয় করার, তার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার এখতিয়ার পুলিশের নেই। পুলিশ কর্তৃক নুসরাত হেনস্তার শিকার হয়ে থাকলে থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেই যেন সব শেষ না হয়ে যায়। কালবিলম্ব না করে অভিযুক্ত সবাইকেই আইনের আওতায় আনা উচিত। এ ক্ষেত্রে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনেও মামলা করার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের অপরাধীদের ক্ষেত্রে মানুষের মনে যেন পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগে, সেই লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশ পুলিশকেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment