মুসলিমদের ভোট নিয়ে যা বললেন মেনকা গান্ধি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধি। গতকাল শুক্রবার সুলতানপুর জেলার মুসলমান সম্প্রদায়ের ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি ভোটে জয় পেয়েছি। এখন আপনারা কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার।’

এ সময় তাকে ভোট না দিলে হয়ত মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো অনুরোধ রাখতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির এই নেত্রী।

নির্বাচনী জনসভায় তার দেওয়া তিন মিনিটের ওই ভাষণ সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মেনকা গান্ধি বলছেন, এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি জয় পেতে চলেছি। মানুষের ভালোবাসা আর আশীর্বাদের কারণেই আমার এই জয়। তবে আমার এই জয় যদি হয় মুসলিমদের সমর্থন ছাড়া, আমি বাজে অনুভব করবো। আমার হৃদয়ে অম্লতা আসবে। যদি কোনো মুসলিম আমার কাছে কোনো কাজে আসে, যা কিছুই হোক না কেন; আমি তা ছেড়ে দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ দেনা-পাওনার ভিত্তিতে হবে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, আমরা সবাই মহত্মা গান্ধীর সন্তান নই, তাই না? আপনারা ভোট না দিলেও আমার জেতা হবে না। আপনাদের ভোট না পেলেও আমরা জিতব। আমি এখন থেকেই নির্বাচনে জিতে গিয়েছি। আমাকে আপনাদের প্রয়োজন হবে। আর তাই এটাই আপনাদের সুযোগ।’

মুসলিমদের উদ্দেশে মেনকা গান্ধি আরও বলেন, ‘ভোটের পর যদি দেখা যায় এই বুথ থেকে আমি ৫০-১০০ টা ভোট পেয়েছি তাহলে আলাদা কথা। তখন আমার কাছে কাজের জন্য আসবেন। আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যাই না। বিভাজনও করি না। আমি মানুষের দুঃখ, কষ্টের কথা ভাবি।’

এর আগে উত্তরপ্রদেশের পিলভিট থেকে জয় পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন মেনকা গান্ধী। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলা থেকে নির্বাচন করছেন তার ছেলে বরুণ গান্ধিও। তাই এই নির্বাচনে তাদের কেন্দ্র অদল-বলদ হয়েছে।

এর আগেও এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন বিজেপির এই নেত্রী। বিএসপি সাংসদ মায়াবতী টাকার বিনিময়ে প্রার্থী স্থির করেন মন্তব্য করে তিনি শিরোনামে আসেন। তিনি বলেন, সবাই জানে মায়া টিকিট বিলি করতে পয়সা নেন। নির্বাচনে প্রার্থী করতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা করে নেন তিনি। তার দলের লোকেরা সেটা গর্ব করে বলেন। তার ৭৭ টি বাড়ি আছে।

যদিও এমন বক্তব্যের পরে নিজ আসনে বিজেপি থেকে তাকেই নির্বাচনের জন্য টিকিট দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment