বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ

বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ

সহিংসতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি ও মানবতার বার্তা নিয়ে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে বাংলা নতুন বছর ১৪২৬ বঙ্গাব্দকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের হয় বাংলা বর্ষবরণের মূল আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রার।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য- ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’। শোভাযাত্রার পুরোভাগে এবার ছিল মহিষ, পাখি ও ছানা, হাতি, মাছ, বক, জাল ও জেলে, টেপা পুতুল, মা ও শিশু এবং গরুর আটটি শিল্পকাঠামো।

এর আগে ‘অনাচারের বিরুদ্ধে জাগ্রত হোক শুভবোধ’- এই প্রতিপাদ্যে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ নতুন বাংলা বছরকে গানে গানে বরণ করে নেয় ছায়ানট।

রাজধানীর ঐতিহাসিক রমনার বটমূলে রোববার ভোর সোয়া ৬টায় রাগালাপ দিয়ে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়কে স্বাগত জানান ছায়ানটের শিল্পীরা।

শিক্ষার্থী-প্রাক্তনী-শিক্ষক নিয়ে, ছোট বড় মিলিয়ে এবারের অনুষ্ঠানে সম্মেলক গান পরিবেশন করছেন ছায়ানটের শ’খানেক শিল্পী। অনুষ্ঠানে থাকছে ১৩টি একক ও ১৩টি সম্মেলক গান এবং ২টি আবৃত্তি।

মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার প্রচলন শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথম দিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment