অপরাধীরা আ.লীগের বলে বহিষ্কার হয়, গ্রেফতার হয় না: খন্দকার মোশাররফ

আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’র তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন : কোন পথে?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্ষমতাসীনরা (আওয়ামী লীগ) নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, যে হত্যাকাণ্ড সারাদেশকে নাড়া দিয়েছে সেই অপরাধীরা আওয়ামী লীগের বলে বহিষ্কৃত হয়, গ্রেফতার হয় না।

সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, গুম, খুন, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করে নাই। এসব অপকর্মে ভীত হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি করেছে সরকার।

মোশাররফ বলেন, এই ধর্ষকের পক্ষে কারা মিছিল করেছে? এই আওয়ামী লীগ। আমার বিশ্বাস সে যদি আওয়ামী লীগ না করতো তাহলে এ ধরনের নৃশংস কাজ সে করতে পারতো না।
যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নাই, তাই গণতন্ত্রও নাই। সরকার দুইবারই গণতন্ত্রকে হরণ করেছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে কী হয় তা আমরা দেখছি। বাংলাদেশক ধ্বংস করার সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কোথাও স্বস্তি নেই।দেশে এখন জনগণের অধিকার, জনমতের অধিকার, লেখার অধিকার, বলার অধিকার নেই। আমাদের এখন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়, বাংলাদেশ এখন কোন পথে যাচ্ছে?

মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এ নীতি নির্ধারণী ফোরামের নেতা বলেন, যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। সেই মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই। অন্যায়ভাবে ১৩ মাস যাবত তিনি কারাভোগ করছেন।

মোশাররফ বলেন, এক দেশে দুই আইন হতে পারে না, আওয়ামী লীগের জন্য এক আইন এবং বিএনপির জন্য অন্য আইন, তা হতে পারে না।দেশে যে সুবিচার ও আইনের শাসন নেই তার অনেক উদাহরণের প্রয়োজন নেই। এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে আইনের সুশাসন এবং অন্যায় অবিচার মুক্ত গণতন্ত্রের দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন এবং খন্দকার মো. মহিউদ্দিন মাহি সভায় সঞ্চালনায় দায়িত্ব পালন করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment