স্ত্রীকে ঝুলিয়ে চুমু, মুখ খুললেন এই দম্পতি

প্রিয়জনকে নিয়ে বালির কেয়ন জঙ্গল রিসোর্টে ঘুরতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন কোডি ওয়ার্কম্যান। জলাশয়ের একেবারে কিনারায় স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় আঁকড়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন তিনি। শেয়ার হওয়ার পর থেকে ছবিটিতে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য যুক্ত হতে থাকে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন এই দম্পতি। রোমাঞ্চকর ছবির জন্য ইন্সটাগ্রামে জনপ্রিয় দম্পতি হলেন কেলি কাস্টাইল ও কোডি ওয়ার্কম্যান। সম্প্রতি মার্কিন এই দম্পতি নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পরে বিষয়টি খোলাসা করতে একাধিক সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন তারা। ফক্স নিউজকে এই দম্পতি জানান, ‘আমরা ছবিটির জন্য পরিবার-বন্ধু ও অনুরাগীদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা, সহানুভূতি, উদারতা ও সুন্দর সুন্দর বার্তা পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আমাদের অ্যাকাউন্টটি মূলত সৃজনশীল, আলোকচিত্র, উদারতা, চিত্রাঙ্কন ও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সাজানো। তাই একটি ছবি অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেল কি পেল না তা আমাদের গ্রাহ্য নয়।’ ‘আমরা যা ভালোবাসি তাই পোস্ট করি। ছবিটি আমাদের চিন্তার বাইরে সাড়া পেয়েছে। আমরা কেবল এর ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে চাই।’ ভ্রমণপ্রিয় ওই যুগল সম্প্রতি তাদের অনুরাগীদের মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে জনপ্রিয় এই যুগল ছবির নেতিবাচক মন্তব্যের বিপরীতে জানান, তাদের একে অপরের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। স্ত্রী কেলি জানান, ‘কোডি আমাকে ভালোভাবে ধরে রেখেছিলো। আমরা একে অপরকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি।’ ‘এটি খুবই অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। আমরা যা প্ল্যান করেছিলাম তাই হয়েছে। আমরা নিরাপদে আছি।’ নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাবে বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোডি বলেন, ‘নেটিজেনদের যা সব থেকে বেশি অবাক করে তা হলো, এমন ঝুঁকিপূর্ণ ছবি তুলতে আমার স্ত্রীই উৎসাহিত করেছেন। আমাদের দুজনের শারীরিক গঠন ভালো। নিজেদের সীমা জানা আছে আমাদের।’ কেলি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস ছিলো এবং আস্থা ছিলো ধরে রাখার। এরপর একসঙ্গে ছবিটি তুলি।’ তারা আরও বলেন, ‘আসলে ছবিটি তোলার সময় আমরা যথেষ্ট সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেছিলাম। নিচে একটি পুল ছিল যেটা আমরা নাটকীয়ভাবে ছবিটিকে উপস্থাপনা করার জন্য কেটে বাদ দিয়েছিলাম। আমরা জানতাম পড়ে গেলে শুধুমাত্র খানিকটা পানির মধ্যে গিয়ে পড়বে। কোনো বিপদ হবে না।’ তবে এই যুগলের বিশ্বাস তাদের ছবির নেতিবাচক মন্তব্য কমিয়ে আনতে পারেনি। বেশিরভাগ মানুষ এমন অরক্ষিত ও বিপজ্জনক ছবির জন্য ওই দম্পতির নিন্দা করেছেন। বাকিরা তাদেরকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একজন লিখেন, ‘আপনারা এই ছবির মাধ্যমে অন্যদের শিক্ষা দিচ্ছেন কীভাবে বোকামি করে নিজের জীবন ঝুঁকিতে রাখা যায়। উদ্বেগ প্রকাশ করে একজন লিখেন, ‘ছবিটি খুবই ভয়ানক। দয়া করে অমন ছবি কেউ তুলতে যাবেন না।’ ‘ছবিটি খুবই সুন্দর। তবে প্লিজ এমন আর করবেন না। জীবন খুব সুন্দর।’ একজন লিখেন, ‘কেন নারীরা সর্বদা ছবি তোলার জন্য ঝুঁকি নিয়ে থাকেন? আজ পর্যন্ত কোনো পুরুষকে দেখলাম না চূড়া থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছবি তুলতে।’ উদ্বেগের বাইরে গিয়ে অনেকেই আবার ছবিটির জন্য যুগলের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ছবিটি আতঙ্কজনক, তবে কী শট!’ একজন আবার ছবির বর্ণনায় লিখেছেন, ‘বিশ্বাসের সংজ্ঞা। সুন্দর লাগছে তবে নিরাপদে থাকবেন।’ ‘হায় মোর খোদা, প্রচুর খামখেয়ালী কিন্তু মানতে হবে ফলাফল অবাক করার মতো।’ অনেকেই ছবিটি দেখে আতঙ্কে পড়ে যান কিন্তু পরে যদিও ছবিটির ফ্রেম তাদের বিস্মিত করেছে বলে মন্তব্য করেন। ‘সত্যি বলতে, ছবিটি দেখে একটু ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু ভালো লেগেছে।’ একজন লিখেন, ‘ওহ খোদা, ভয়ানক ছবি! যদিও ছবিটি আপনি পারফেক্টভাবে তুলতে পেরেছেন।’ এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত তাদের দুজনে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment