৪ হাজার দিন পরে শিরোপা উঠলো ক্রীড়াবিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার উডসের হাতে

শেষ শিরোপা জিতেছিলেন ২০০৮ সালে। পরের শিরোপা জিততে টাইগার উডসকে অপেক্ষা করতে হল ৩ হাজার ৯৫৪ দিন! বছরের হিসেবে সময়টা ১১ বছর। এই সময়ের মধ্যে নিজের প্রথম ও ক্যারিয়ারের ১৫তম মেজর জিততে সাবেক নাম্বার ওয়ান গলফারকে যেতে হয়েছে পাহাড় সমান উত্থান-পতনের মাঝে।

আর কখনো ফেরা হবে কিনা তাই নিয়ে শত শঙ্কা। সবকিছু পেছনে ফেলে তাই অগাস্টায় যখন শিরোপা উঁচিয়ে ধরছেন তখন মুখ ভর্তি হাসির সঙ্গে উডসের চোখে মিশে থাকল অজস্র বেদনাও!

এই ১১ বছরে কী করেননি উডস। ২০০৮ সালে নিজের ১৪তম মাস্টার্স শিরোপা যখন জিতলেন, কোথায় গিয়ে থামবেন তখন এই নিয়েই ছিল জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু সব কিছু যেন উড়ে গেল এক নিমিষে। কোথা থেকে এক ঝড় এসে তছনছ করে দিয়ে গেল সর্বোচ্চ সংখ্যক মেজর জেতা গলফারের জীবন!

ক্রীড়াবিশ্বে প্রথম বিলিয়নিয়ার হওয়ার কীর্তি উডসের। আবার একবারে হিরো থেকে জিরো হওয়ার অন্যতম উদাহরণও মার্কিন এই গলফার।

বয়স চলছে ৪৩, সঙ্গে চারবার বড় রকমের অস্ত্রোপচারের ধাক্কা। উডসের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে ভেবেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেখান থেকেই ফিরলেন উডস, তাও ক্রীড়াবিশ্বে বড় রকমের ধাক্কা মেরে! বয়সের সঙ্গে ফর্ম মিলিয়ে যে অবস্থাতে ছিলেন উডস, সেখান থেকে এই শিরোপা জয়কে বলা হচ্ছে ক্রীড়াবিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তনের গল্প। কারণ পিঠে এত অস্ত্রোপচারের পর যার কিনা সোজা হয়ে দাঁড়ানোই দায়, তিনিই কিনা জিতে ফেললেন শিরোপা। তাও আবার মেজর! বড় প্রত্যাবর্তনই তো!

যেই অগাস্টা মাস্টার্সে সবশেষে শিরোপা জিতেছিলেন ২০০৫ সালে, সেই টুর্নামেন্ট ভরিয়ে দিল উডসের হাত। পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলে শিরোপা জেতার পর ভেতরের আবেগ আর ধরে রাখতে পারেনি। দুই হাত তুলে করেছেন চিৎকার, কেঁদেছেন শিশুর মত! বাবার এমন উল্লাস দেখে হেসেছে-কেঁদেছে মাঠে খেলা দেখতে আসা তার সন্তানেরাও।

‘আজ চক্রটা পূর্ণ হল। আমার সন্তানেরা খেলা দেখতে এসেছিল। ১৯৯৭ সালে আমার বাবা এখানে খেলা দেখতে এসেছিলেন। আজ আমি বাবা, আমার সন্তানেরা এখানে! জীবনে শিরোপা জিততে কখনোই এত কষ্ট করতে হয়নি। মাঝের সময়টা আমার কীভাবে গেছে সেটা কেবল আমি ছাড়া আর কেউ জানে না।’ চ্যানেল আই

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment