লক্ষীপুরের রায়পুর জনকল্যান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভুক্তভোগী কয়েক ছাত্রীর অভিযোগ, তাবারক হোসেন আজাদ স্কুলের অফিস সহকারী হলেও মাঝে মাঝে ক্লাস নিতেন। তিনি ক্লাসে ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ফেল করিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন। সম্প্রতি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানি করেন তিনি।
পরে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে স্কুলের ১০ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাঝে লিখিত অভিযোগ দেয়। একই সঙ্গে তাবারক আজাদকে অপসারণ ও তার কঠোর শাস্তির দাবি করেন তারা।
যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী বলে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ১৬ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছি। এর মধ্যে বিষয়টি যাতে আর কাউকে না জানাই, সেজন্য আজাদ তার বাবাকে পাঠিয়েছেন আমাদের বাড়িতে। তিনি আমাকে মা ডেকে বিষয়টি চেপে যেতে বলেছেন। আর তার ছেলের ক্ষতি হলে বিষয়টি দেখে নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এ কারণে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত তাবারক হোসেন আজাদ জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর বাবা সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অনেক আগে। এ কথা শুনে ওই ছাত্রীকে স্নেহ করে জড়িয়ে ধরি। যৌন হয়রানির কিছুই করা হয়নি।
তাবারক জানান, তিনি দুই বিয়ে করেছেন। তবে তার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি মহল চার বিয়েরর কথা ছড়াচ্ছেন। এ সবই ষড়যন্ত্র।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যা শুনেছেন তা সঠিক। ভাইরাল হওয়ায় সবাই জেনে গেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এরপর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাও পাওয়া যায়। পরে তাবারক হোসেন আজাদ সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউএনওকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…