কালের বিবর্তনে হারনো স্মৃতি

মামুন মোল্লা,চুয়াডাঙ্গা:

ঊনিশ শতকের শুরুতে আধুনিকতার ছোয়া লাগে মানব সভ্যতার প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে।জীবননের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে যান্ত্রিককতার ছোয়া। অাধুনিকতার ছোয়ায় মানুষ তার স্বপ্নকে আরো রঙিন করে সাজিয়ে তুলেছে। আমরা যেন ভুলেই গেছি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আধুনিকতার ছোয়ায় বিজ্ঞানের কল্যানে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম সেই পুরানো স্মৃতিকে আর অবলোকন করতে পারে না।

তেমনি একটি গ্রামীন জীবনের চিত্র হলো তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য।এক সময় মানুষ খাল, বিল, পুকুর, বাওর ইত্যাদি জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এখনও বর্তমানে কিছু খাল-বিল টিকে থাকলেও তাতে আর কেউ মাছ শিকার করতে পারে না। এসমস্ত খাল-বিল প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে ।

এজন্য মাছ শিকার করা উপজাতি (বাগদী) সম্পদায়ের লোকজন পরেছে ভীষন বিপাকে। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের পূর্বপুরুষরা মাছ শিকার করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

কিন্তু বর্তমানে নদী খাল বিল প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে জীবিকার জন্য অন্য উপায় খুজে বের করতে হচ্ছে। এতে তাদের জীবনযাত্রার মান আরো নিন্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রশাসন এসমস্ত খাল বিল অল্প কিছু টাকায় প্রভাবশালীদের কাছ ইজারা দিচ্ছে বছরের পর বছর। এতে গ্রামীন জনপদের লোকজন আর আগের মতো মাছ ধরতে পারে না জলাশয়গুলোতে। এমনি কিছু গ্রামীন দৃশ্যের সৌন্দর্য অবলোকন করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের ছোট নদী কবিতা লিখেছিলেন। তুলে ধরেছিলেন মাছ ধরার কিছু দৃশ্যপট। বৈশাখের শুরুতে খাল বিলের পানি কমে যায়। তাতে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা আঁচল ছেঁকে মাছ ধরে।

তেমনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদীনীপুর গ্রামের ছোট বড় সকলে মিলে ঠেলাজাল ও কাদা হাতরিয়ে মাছ ধরার একটি মুহুর্ত দৃশ্যবন্দী করলাম। এখানে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা গায়ে কাদাপানি মেখে আনান্দের সাথে মাছ ধরছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম দেখে নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে ফেললাম। কি সুন্দর গ্রামীন জীবনের চিত্র।
এযেন রুপময় এক অবিরাম বাংলাদেশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment