নবাবগঞ্জে মোমবাতির আগুনে দগ্ধ শিশু জুঁই বাঁচতে চায়

 দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.

ঢাকার নবাবগঞ্জে মোমবাতির আগুনে দগ্ধ শিশু জুঁই আক্তার (৮) বাঁচতে চায়। আগুনে শরীরের ৩৫ ভাগ ঝলসে গেছে জুইয়ের। শিশুটি ৪৭ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মেয়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা তাছলিমা বেগম। গত ৩ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর কাশিমপুর এলাকার নিজ বাড়ীতে মোমবাতি থেকে শরীরের জামায় আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন মো. জুলহাসের মেয়ে। অগ্নিদগ্ধ জুঁই দোহার উপজেলার ধিৎপুরের কুয়েতি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। জানা যায়, এদিন সন্ধ্যায় জুঁই বাড়িতে একা একা খেলা করছিল। এ সময় পানির তৃষ্ণা পেলে পানি খাওয়ার জন্য গেলে মোমবাতির আগুন পিছন থেকে তার পরনের জামায় লেগে যায়। তার চিৎকারে আসে-পাশের লোকজন দৌড়ে এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে পুরো শরীর ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। জুইয়ের বাবা জুলহাস মিয়া কয়েক বছর আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে ৪তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে বেকার হয়ে পড়েন। সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে পুরো পরিবার। তাই দুই মাস আগে দুবাই চাকরিতে যান জুঁইয়ের মা তাছলিমা বেগম। মেয়ের জীবনের কঠিন সময়ে পাশে থাকতে দুবাই থেকে চাকরী ছেড়ে চলে আসায় তিনিও বেকার হয়ে যান। রবিবার দুপুরে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হলে, মেয়ের দগ্ধ ছবি দেখান মা তাছলিমার। তাছলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ছোট। ওকে বাঁচাতে হবে। চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। প্রতিদিন বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়। হতদরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে সন্তানের চিকিৎসার খরচ করা সম্ভব না। তাই এর চিকিৎসার জন্য সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তার অসহায় পরিবার। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, বিকাশ নম্বর:

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment