শান্তি-সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দিতে পালিত হচ্ছে ইস্টার সানডে

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ (২১ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে। এ ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, তিরোধানের পর এই দিনেই পৃথিবীতে পুনরুত্থান হয়েছিলো যীশুর। তাই দিনটিতে উৎসব করেন তারা।

সকালে রাজধানীর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চ ও কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে গির্জার এলাকা। উৎসবমুখর পরিবেশে দিন শুরু হয় সমবেত প্রার্থনা সংগীতের মাধ্যমে। এই প্রার্থনায় শিশুদের সঙ্গে গলা মেলান সব বয়সী মানুষ।

এরপর বাইবেল থেকে ইস্টার সানডের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন বেশ কয়েকজন পাদ্রী। এসময় উপস্থিত অনুসারীদের ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেয়া হয়।

হলি রোজারিও চার্চের ব্রাদার রিকসন মন্ডল বলেন, ‘আমাদের ধর্মবিশ্বাসের মূলে রয়েছে মানবজাতির মুক্তির জন্য যীশুর জীবন দান ও পুনরুজ্জীবন। ইস্টার সানডের এই মহান দিবসে আমরা যীশুর জীবন উৎসর্গ ও পৃথিবীতে ফিরে আসার কারণ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছি। মানুষের মুক্তির পথ এবং সত্য ও সুন্দর বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছি।’

চার্চের আরেক পাদ্রী মিল্টন মমৃম বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী কিভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় সেটি ইস্টার সানডের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। সে সঙ্গে মানবজাতির মুক্তির জন্য আজকে আবার প্রার্থনাও করেছি।’

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও শনিবার গভীর রাত থেকেই ইস্টার সানডে পালন শুরু করেন। দেশের প্রতিটি গীর্জা সাজানো হয় নান্দনিক সাজে। রাতের মতো সকালেও সবগুলো উপাসনালয়ে প্রার্থনা সংগীত এর আয়োজন করা হয়।

এ ছাড়াও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন এ দিনটিকে মহিমান্বিত করতে বিভিন্ন আয়োজন করেছে। ঢাকার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস যে এলাকাগুলোয় সেখানে ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে সম্প্রীতির বার্তা এবং আশীর্বাদ মূলক বক্তব্য লেখা হয়েছে।

খ্রিস্ট ধর্মমতে ইস্টার সানডেতে যিশু মৃত্যুকে জয় করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন এবং তাদের পাপ মুক্ত করেছিলেন। গুড ফ্রাইডেতে রোমান শাসক গোষ্ঠী ও একদল বিপথগামী ইহুদির ষড়যন্ত্রে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। তিরোধানের তৃতীয় দিনে রোববার যিশুর পুনরুত্থান হয়। এটিকেই ইস্টার সানডে হিসেবে উদযাপন করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন