সেই এফআর টাওয়ারে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা, নেই পুলিশও

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানী এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন আর নেই আগের মতো মানুষের আনাগোনা। পুরো ভবনের ২২টি ফ্লোরের সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভবনের নিরাপত্তার জিম্মাদারি ছেড়ে দিয়ে বনানী সোসাইটির কাছে ন্যস্ত করেছে পুলিশ। শুধু অনুমতিসাপেক্ষে নীরবে ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় কাশেম গ্রুপের মালিক তাসভির উল ইসলাম এবং এফআর টাওয়ারের জমি ও ১০টি ফ্লোরের মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাসভির জামিনে বেরিয়ে এলেও মুক্তি মেলেনি ফারুকের।

আগুনের ঘটনার পর থেকে এফআর টাওয়ারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে রাজউক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৪ এপ্রিল রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। দুই শর্ত পূরণ হলেই চালু হবে বনানীর এফআর টাওয়ার। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ওই তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটিই জানানো হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এফআর টাওয়ারের প্রধান ফটকে সুনসান নীরবতা। গেট বন্ধ। শুধু সড়কে চলা যানবাহনের হর্নের শব্দ। তবে এফআর টাওয়ারের পেছনে নিরাপত্তাকর্মীরা টেবিল সাজিয়ে টালি খাতা নিয়ে বসে আছেন। পেছনের সিঁড়ি খোলা রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে নিজেদের মালামাল নামিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ভবনে আগুনের পর পুলিশ ভবনের নিরাপত্তা ও তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকলেও সোমবার পুলিশ দেখা যায়নি।

বনানী সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ আর এখানে আসে না। তারা আমগো ওপরে দায়িত্ব দিছে। আমরাই বইসা থাকি। কেউ আসলে খাতায় নাম, ঠিকানা লেইখা স্বাক্ষর নিতাছি। ফের মালমাল নিয়ে যাবার কালেও মালামালের তালিকা লেইখা নিতাছি।

এফআর টাওয়ারের জমি ও ১০টি ফ্লোরের মালিক এস এম এইচ আই ফারুকের রোজ ডে নামক কমিউনিটি সেন্টারের ম্যানেজার মনির হোসেন বলেন, এই যে ভবন বন্ধ; আমরা বইসা আছি। কোনো কাজ নাই। বেতন পাব কি-না তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। বেতনই বা কে দেবে? মালিক তো জেলে। সে খবর আর কেউ নেয় না।

ভবন কবে নাগাদ খুলবে জানতে চাইলে মনির হোসেন বলেন, এখন ভবন খোলা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। স্যার জামিনে আগে বের হোক। সবগুলো তদন্ত কমিটির সামগ্রিক রিপোর্টের আলোকেই কার্যক্রম চালু করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment