যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে সিমলা বেগম (১৯) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই গৃহবধূর খালু গোলাম কিবরিয়া জানান, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রামের রাজমিস্ত্রি তাওহিদের সঙ্গে আট থেকে নয় মাস আগে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার বুড়িডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের মেয়ে সিমলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে তাওহিদ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহ খানেক আগে সিমলার স্বামী ব্যবসার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।এ টাকা না দেওয়ায় সিমলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করেন।

সিমলার বাবা আজিজুল হাওলাদার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তি আমাদের বাড়ি ফোন করে জানান, আপনাদের মেয়ে সিমলা কালিয়া হাসপাতালে মারা গেছে। এই খরর পেয়ে আমরা ছুটে আসি, এসে দেখি লাশ কালিয়া থানায় রয়েছে। তাওহিদ আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। যৌতুক না দেওয়ায় ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি সিমলার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এদিকে শিমলার শাশুড়ি সুলেখা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে বলেন, ‘বৌমা গলায় দড়ি দিয়েছে, তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।’ এ পরপরই আবার তিনি বলেন, ‘সে অসুস্থ্য ছিল, তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।’

কালিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে কালিয়া হাসপাতাল থেকে খবর আসে হাড়িডাঙ্গা গ্রাম থেকে একটি রোগী এসেছে, রোগীটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। এ মৃত্যুটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment