‘প্রকৃতির রুদ্ররোষ দেখতে সৈকত পারে পর্যটকরা’

'প্রকৃতির রুদ্ররোষ দেখতে সৈকত পারে পর্যটকরা'

‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলে আতঙ্ক ছড়ালেও কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটকদের উপর আতঙ্ক ছড়ায়নি। মে দিবসে যেসব পর্যটক কক্সবাজার এসেছিলেন তারা কেউ হোটেল ছেড়ে চলে যাননি। বাতিল হয়নি আজকে শুক্রবার কোন বুকিং।’

কথাগুলো বলেন কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশন’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) রিয়াদ ইফতেখার।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মাতামাতি চলছে। এর প্রভাবে জোয়ারের পানি উপকূলে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালেও বৈশাখের দাবদাহ থাকায় বালিয়াড়িতে এর রেশ পড়েনি। তাই মে দিবসকে উপলক্ষে শনিবার পর্যন্ত টানা বুকিংয়ে আসা পর্যটকদের কেউ কক্সবাজার ছাড়েননি। বরং এডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা শুক্রবার ফণি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানবে জেনে প্রকৃতির রুদ্ররোষ দেখতে সৈকত পারে এসে থাকতে রুম বুকিং দিয়েছে।’

অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশার পুরীতে আঘাত হেনেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ২০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে ওড়িশা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ফণী প্রায় অর্ধেক দুর্বল হয়ে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের উপকূলে ফনী আঘাত হানবে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা,পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment