ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানলো ফণী, কলকাতা ও ভূবণেশ্বরে ফ্লাইট বাতিল

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ২০০ কিলোমিটার বেগে উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর আগেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভূবণেশ^র বিমান বন্দরের সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে এবং কলকাতা বিমানবন্দর শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের ২০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টার ও জাহাজ মোতায়েন রেখেছে।

বৃহস্পতিবার থেকে উড়িষ্যার গোপালপুর, পুরী, ভূবণেশ^র, পারাদিপ, চান্দবালি, বালাসোর, কলিঙ্গপতনমে সারা রাত ধরে প্রবল ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম এবং বিশাখাপত্তনমেও প্রবল বর্ষণ হচ্ছে।
সাইক্লোন ফণী এযাৎকালের সর্বাধিক ভয়াবহ ঘূর্নিঝড়। ইতিমধ্যে ১০ লাখ উড়িষ্যাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এবং তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, কোস্টগার্ড, ডেজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি মোতায়েন করা হয়েছে ।
অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়– এবং পশ্চিমবঙ্গের যে সকল স্থানের উপর দিয়ে ফণী আছড়ে পড়বে তাহলো: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, ঝাড়গ্রাম জেলা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি জেলা শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম এবং বিশাখাপত্তনম ।

এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবার জন্য ভারতীয় প্রশাসন নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আপডেট জানার জন্য হেল্প লাইন ১৯৩৮ চালু করেছে।

রিলিফ কমিশন এবং জেলা কালেক্টররা ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন।

ইস্টকোচ রেলওয়ে ১৪৭ টি ট্রেন বাতিল করেছে। পর্যটকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের পুরী থেকে হাওড়া এবং শালিমার এ বিশেষ ট্রেন চালু করেছে।

সাইক্লোন ফণী শুক্রবার সন্ধ্যায় উড়িষ্যা উপকূল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment