১৫ বছর ধরে তরুণীকে ধর্ষণ করল ওঝা! অতঃপর…

এক ভণ্ড ওঝা! তিনি থাকতেন গ্রামের পাশে একটি জঙ্গলে। ৮৩ বছর বয়সী ওই ভণ্ড ওঝার সঙ্গে ১২ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির দেখা হয়েছিল। এর পরেই ঘটনার শুরু।

এ সময় ভণ্ড ওঝা তাকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, মেয়েটির প্রেমিক আমরিনের আত্মা ভর করেছে তার (ওঝা) ওপর। এ বিষয়টি বিশ্বাস করে ওই মেয়েটি ভণ্ড ওঝার বাড়িতে থাকতে রাজি হয়ে যান। এরপর থেকে ভণ্ড ওঝা তরুণীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে। আর ওঝার ধর্ষণের ফাঁদ শেষ হলো ১৫ বছর পরে এসে। খবর রয়টার্স, জাকার্তা পোস্ট।

ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় সুলাওয়েসি প্রদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।

গত রবিবার গোপন সংবাদ পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। ২০০৩ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ভণ্ড ওঝার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেখান থেকে কোথাও আর যায়নি তিনি। এখন তার বয়স ২৮ বছর।

কেন্দ্রীয় সুলাওয়েসি প্রদেশের পুলিশ প্রধান বলেন, ‘মেয়েটি মনে করতো সে তার প্রেমিকের সঙ্গে যৌন সংগম করছে। মূলত মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ওঝা তার লালসা মিটিয়েছে।’

জানা গেছে, এঘটনায় ওই বৃদ্ধ ওঝা নিজের দোষ স্বীকার করেছে। ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা আইনে তার ১৫ বছরের সাজা হতে পারে।

আধুনিক সভ্যতার এই যুগে এসেও ইন্দোনেশিয়ায় এখনো আধ্যাত্মিক জ্বিন-ভূত ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment