লিপিকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য রাব্বানীর, প্রতিবাদ করায় নারী নেত্রীদের মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে টিএসসিতে আলোচনায় বসেছিলেন পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অংশের সদস্যরা। সেখানে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তারকে আপত্তিকর কথা বললে তিনি প্রতিবাদ জানান। এর জেরে সেখানে উপস্থিত গোলাম রাব্বানীর কর্মীরা লিপিসহ পদবঞ্চিত কয়েকজনকে মারধর করেন।

মারধরের শিকার হয়েছেন যারা, তারা হলেন- নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।

পদবঞ্চিত অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

এদিকে মারধরের অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে বৃষ্টিতে ভিজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের বোঝাতে এসে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

রাত তিনটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অনশন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে পদবঞ্চিতরা তাদের গ্রহণ করেননি। তারা মারধরের বিচার দাবি করে তাদের চলে যেতে বলেন।

এ সময় গোলাম রাব্বানী তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সরি। তোমরা চলে যাও। আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।’

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম রাব্বানী বলেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে ‘হট টক’ হয়েছিল। বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমি আজ কিছু বলব না। যা বলার কাল বলব।’

আপনি আরও পড়তে পারেন