জগন্নাথপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে স্কুল শিক্ষক “বাপ্পা” জেল হাজতে

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরের খাসিলা গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ৮ম শ্রেণির ছাত্রী  উর্মি(১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগে স্কল শিক্ষক বাপ্পা সেন (২৬) কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও মামলার বিবরণ সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন এর খাশিলা গ্রাম নিবাসী চঞ্চল দাস এর মেয়ে স্কুল পড়ুয়া ৮ম শ্রেণির ছাত্রী উর্মী রানী দাস(১৪) এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রাম নিবাসী মৃত মলয় সেন এর ছেলে উপজেলার সৈয়দপুর আইডিয়াল গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক বাপ্পা সেন এর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
এরই পরিপেক্ষিতে বেড়ানোর কথা বলে বিগত ৪ঠা মার্চ কথিত বাপ্পা সেন ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদ এর বাড়ী নিয়ে গিয়ে বাপ্পা ও সামাদ দুই বন্ধু মিলে উর্মি(১৪)কে গন-ধর্ষন করে।এতে  মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্বা পড়ে।এবং পরে সে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে গতকাল ২৪ শে মে  শুক্রবার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে কথিত বাপ্পা ও সামাদ এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা একজনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে  মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই থানা পুলিশ গত ২৪ শে মে শুক্রবার জগন্নাথপুর পৌর শহরের বটের তল এলাকা থেকে ধর্ষক বাপ্পা সেনকে গ্রেপ্তার করেন।
মামলার বাদী মেয়ের বাবা চঞ্চল দাস বলেন,আমার অপ্রাপ্ত বয়স্কা স্কুল পড়ুয়া মেয়ে উর্মিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যারা   ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে আমি তার বিচার চাই।আমি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।অপরদিকে কথিত ধর্ষক বাপ্পা’র বড় ভাই মীর সেন  বলেন, আমার ভাই ষড়ষন্ত্রের শিকার।তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
জগন্নাথপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত নব গোপাল দাসবলেন,মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা হয়েছে।মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ  ইখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাপ্পা সেনকে ২৫ শে মে রোজ শনিবার সুনামগঞ্জ  জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন