গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা থেমে নাই: নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলছেন, বিএনপি জামায়াত নিষ্কক্রীয় হয়েছে। নিস্তেজ হয়ে গেছে। কিন্তু নিঃশ্বেস হয়ে যায়নি। কারণ এখনও আমরা দেখি পুলিশের গাড়ি ও রাজপথে হামলা হচ্ছে। ওই জঙ্গির উত্থান আবরো আমরা সুনতে পাই। জঙ্গি উত্থানের মধ্যদিয়ে আবারো গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে।

আজ শনিবার (০১ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের আয়োজনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছে ১৪ দল ততদিন থাকবে। ওই অপশক্তিকে আর কোন দিন ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। মানুষকে নির্যাতন করার জন্য আর তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা বার বার বিজয়ী হবো। যে ভাবে লড়াইয়ের মাঠে বিজয়ী হয়েছি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যখনি এদেশের গণতন্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে তখনি আওয়ামী লীগকে আঘাত করা হয়েছে। তখনি আঘাত করা হয়েছে নিরহ নেতাকর্মীদেরকে। আঘাত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে। ঠিক তখনি বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসনার নেতৃত্বে।

তিনি বলেন, আমরা ১৫ আগষ্ট হারিয়ে ছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিবুর রহমানকে। তাকেই হত্যার মধ্যেদিয়ে অশুভ শক্তির যাত্রা শুরু হয়েছিলো। শুরু হয়েছিলো শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরবারের সবাইকে হত্যার মধ্যদিয়ে। জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্য হত্যার মধ্যদিয়ে সেই ষড়যন্ত্রের চক্রন্ত শুরু হয়েছিলো সেই খল নায়ক জিয়া-মস্তাকের সৈরাতন্ত্রের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, এরপর অনেক সময় চলে গেছে। ৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সমস্ত বেদনা সংহত করে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলো। কিন্তু আপনারা জানেন এখন গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা থেমে নাই। আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামে নাই। চক্রান্ত্র থামে নাই। আবারো ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে সেই চক্রান্ত্র শুরু করেছিলো আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে। মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করে। তারপর ২০০১ সালে কি নির্মম অত্যাচার হয়েছে আপনারা সবাই জানেন।

শুধু আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়, সংখ্যালঘু ভাই যোনদের হত্যা করা হয়েছে । তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়। তারপর দীর্ঘ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই ১৪ দল গঠিত হয়েছিলো। তারপর কয়েকযুগ লড়াই সংগ্রাম করে আবারো সেই গনতন্ত্রকে ফিরেয়ে এনেছিলাম শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা।

নাছিম বলেন, ওয়ান ইলিভেন এসে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার করা হলো আমাদের কে । গ্রেপ্তার করা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে। কিভাবে নির্মম অত্যার করা হয়েছে সেই কয়েকটি মাস। গ্রেপ্তার করে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহ রহমতে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে আবারো আমরা সেই গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছি ২০০৮ সালে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই চক্রান্তের বলি হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মবিবুর রহমান। বলি হয়েছে জাতীয় চার নেতা। বলি হয়েছে অনেক কর্নেল তাহেরের মতো অনেক বীড় মুক্তিযোদ্ধারা। অনেকেই ফাসিতে ঝুলে জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে। তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই লড়াই করে আজ আমরা এখানে এসে দারিয়েছি। বার বার বিজয় ছিনিয়ে এনেছি বাংলার জনগনের জন্য।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রীক একটির সরকারের আমলে টুটি বিশ্রুতি থাকতে পারে। গনতন্ত্রেরর সুন্দর্যই তাই। সংসদীয় গনতন্ত্রের দেশে কোন সরকার সম্পান্ন সফল হয় না। তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টর ভিতরে এবং বাহিরে মানুষ কথা বলবে। অনেক উন্নত দেশে এগুলো দেখা যায়। আমাদের দেশেও সরকারের সমালোচনা হবে।

টুটি বিশ্রুতি কঠোর ভাবে তুলে ধরতে হবে। আমরা আর কোন দিন আশা করিনা একুশে আগষ্টের মতো ঘটনা ঘটবে বাংলাদেশে। যেখানে গনতন্ত্রের গলাচিপে ধরে হত্যা করা হয়েছে। এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে আইভি রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য ১৪ দল সবসময় সতর্ক। সবসময় বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে সতর্ক আছে। গণতন্ত্র এখন সংঙ্খা মুক্ত নয়।

১৪ দলের এই মুখপত্র বলেন, ঈদের পরেই আমরা শেখ হাসিনার নিদের্শে বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা সভা সমাবেশ করবো। সকল চক্রন্তের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর চেষ্টা করব। এই সমাবেশের মাধ্যমে জেলা উপজেলাতে আওয়ামী লীগ যে ভাবে সুসংগঠিত হবে ১৪ দলও সেই ভাবে সুসংগঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, দিলিপ বড়ুয়া, আমির হোসেন আমু, এ্যাডভুকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাহাজাহান খান প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন