কচুয়ায় মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত অবুঝ দু’শিশুর সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান

মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া(চাঁদপুর)প্রতিনিধি- ॥

ছোট্র শিশু সাবিকুর নাহার, (বয়স ৫মাস) ও নূরন্নবী (দেড় বছর)। যে বয়সে বাবা-মায়ের কোলে চড়ে চলাফেরা করছে, কিন্তু সে বয়সেই ছোট্ট ফঁটফুটে শিশু দুটি’র মরনব্যাধী ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে। হঠাৎ যে কেউ দেখলে তাদের নজর কারা মায়ার জালে আটকে যাবে। এ বয়সেই ঘাতক ক্যান্সার শিশু দুটিকে আটকে রেখেছে হাসপাতালের বেডে ও বাড়ির বিছানায়। অনেকদিন ধরে তাদের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন তার হত- দরিদ্র পরিবার । হতভাগা অবুঝ শিশু দুটি’র গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের আলী আহম্মেদ মেম্বারের বাড়ির এই দুটি শিশুর বাবা মো. সুজন মিয়া পেশায় একজন চা বিক্রেতা ও সহায় সম্বলহীল কৃষক। অসহায় সুজন মিয়া জানান, সংসারে আমার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। জন্মের ৩-৪ মাস পর পর পর দু’জন শিশুরই মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। মরনব্যাধী এ রোগের কারনে শিশু দু’টি চোখের নিচের অংশে ফুলে যায়। ঔষধ সেবন করালে কিছুটা ফুলা কমে যায়। কিছু খেতে পারেনা। শুধূ মাত্র তরল জাতীয় সূজি খাবার ও বুকের দুধ খাইয়ে তাদের জীবন বাঁচানো হয়ে থাকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয়দের পরামর্শে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)সহ বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ডাক্তার জানিয়েছেন, শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০- ২৫ লক্ষ টাকা লাগবে । কিন্তু এতো টাকা আমার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। আমি বর্তমানে অবুঝ সন্তানদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনাসহ দেশ-বিদেশের সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমার বিশ্বাস সকলের সহযোগিতায় আল্লাহ’র রহমতে আমি আমার সন্তানদের সুস্থ করতে পারবো।্#৩৯; চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশু নূরুন্নবী ও সাবিকুর নাহারকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। প্রায় ২ বছর ধরে এভাবে চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে দরিদ্র সুজন মিয়ার পরিবার। এদিকে,অবুঝ দুটি শিশুর সু- চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে আর্থিক সহযোগীতার জন্য হাত বাড়িয়েছেন তাঁদের অসহায় বাবা মোঃ সুজন মিয়া। কেউ অবুঝ ফুটফুঁটে শিশু দুটিকে সাহায্য পাঠাতে চাইলে সুজন মিয়ার বিকাশ নম্বরে (০১৯৯৮২৮০৬১০) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কচুয়া: কচুয়ার ডুমুরিয়া গ্রামে বাবা-মার কোলে ক্যান্সারে আক্রান্ত দুশিশু। কচুয়ায় স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ভাবে বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ কচুয়া(চাঁদপুর) প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুরের কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলের ৮ম শ্রেনীর এক মেধাবী ছাত্রীকে (১৩) তার বাবা ও মামা কর্তৃক জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ৪দিন যাবৎ তার বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করার খবর পাওয়া গেছে । জানাগেছে, উপজেলার হারিচাইল-পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেন কচুয়া পৌরসভাধীন পলাশপুর এলাকায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন। তার কন্যা বর্তমানে কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত রয়েছে। বিল্লাল হোসেন ও ছাত্রীর মামা আবুল হাছানাত মাষ্টার মিলে বিল্লাল হোসেনর বড় ভাই মকবুল হোসেনের প্রবাসী ছেলে যুবক মহিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে মেধাবী ওই ছাত্রী গত ৪ দিন যাবৎ তার বাবার ঘরে না গিয়ে কচুয়ায় তার এক বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। ওই ছাত্রী জানান, আমার বাবা ও মামা আমাকে আমার প্রবাসী চাচােেতা ভাই মহিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমি এতে রাজি নই, আমি লেখাপড়া করে আমার ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। স্কুল ছাত্রীর বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন আমার মেয়ে কুরআন শরীফ পড়তে চায়না, মোবাইলে কথা বলে, আমি বাধা দিলে সে ৪ দিন পূর্বে বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পর এখনও বাসায় আসছেনা। তবে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি পাশ কাটিয়ে যান। অন্যদিকে মেয়ের মামা মনোহরপু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল হাসানাত মাষ্টারের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। মেয়ের বাবা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আমার কার্যালয়ে আজ সোমবার ডেকেছি। ১৮ বছরের আগে কোনো ভাবেই এ মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আমির হোসেন মজুমদার জানান, বিষয়টি ওই ছাত্রী আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে। আমি ওই ছাত্রীর বাবাকে বাল্য বিয়ে না দেয়ার কথা বলেছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন