সেই ফোন না এলে বাংলাদেশের কাছে হেরেই অবসর নিত শচীন

শচীন টেন্ডুলকার। একটি নাম। পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। বলার অপেক্ষা রাখে না এই একটি নামের পেছনে কত সংখ্যার মাহাত্ন্য জড়িত! ব্যাটিং এর প্রায় সব রেকর্ড নিজের করে নেবার পাশাপাশি ভারতের ১০০ কোটি জনতার আবেগ, আশা-আকাঙ্খা, অনেক স্বপ্নের নামের সাথেও এই নামটি অনেকাংশে জড়িত। যে ভার তিনি বয়ে চলেছেন বিগত ২৩ টি বছর ধরে।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। ভারতের এই ব্যাটিং লিজেন্ডের ক্যারিয়ার আরও আগেই থামতে পারত। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের কথোপকথনের পর সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। কী ছিল সেই টেলি সংলাপে?

২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল নিয়ে খেলতে গিয়েও বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে গ্রুপ লিগে হেরে বিদায় নেয় ভারত। ওই সময় বাংলাদেশ আজকের মতো শক্তিশালী দল ছিল না। যে কারণে ভারতীয় সমর্থকদের মাঝে এই পরাজয় প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম দেয়। ক্রিকেটারদের বাড়ি-ঘরে পর্যন্ত হামলা চালানো হয়েছিল! ক্রিকেটাররাও স্বস্তিতে ছিলেন না। দলের বাকিদের মতো হতাশায় ভেঙে পড়েন শচীন। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে তিনি অবসর নেবেন।

এক যুগ আগের সেই ঘটনার উল্লেখ করে শচীন বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেও আমার বড় ভাই এই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বলে। কারণ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ছিল ভারতে এবং ফাইনাল ছিল মুম্বাইয়ে। ভাই বলে, পরের বিশ্বকাপে তুমি ওয়াংখেড়েতে কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছ। এটা সম্ভব হতেই পারে এবং অবিশ্বাস্যভাবে তা মিলেও যায়।’

বড় ভাই অজিতের পরামর্শ শোনার পরেও শচীনের মনে সংশয় ছিল। সেই সংশয় কেটে যায় স্যার ভিভের একটা ফোন কলে। শচীন বলেন, ‘আমার যেটুকু সংশয় ছিল তা কেটে যায় স্যার ভিভের ফোন কলে। স্যার আমাকে বলেন, তোমার মধ্যে এখনও ক্রিকেট ফুরিয়ে যায়নি এবং আমার আশা তুমি খেলা চালিয়ে যাবে। নিজের ব্যাটিং হিরোর কাছ থেকে এমন ফোন কল পাওয়ার পরে আমি খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন