৩০-এ সাড়ে ৩ পাওয়া সেই প্রার্থী দুদকের বাছিরের স্ত্রী

ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে ৩০ এ সাড়ে ৩ পেয়েও নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হয়েছিলেন রুমানা শাহীন শেফা। তিনি দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরের স্ত্রী।

সম্প্রতি এক আলোচিত ঘুষ কেলেঙ্কারিতে বাছিরের নাম আসার পর আলোচনায় এসেছে ওই নিয়োগের বিষয়টিও। রুমানা যে বাছিরের স্ত্রী এটা জানার পর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, অভিভাবকরাও বিস্মিত হয়েছেন। বিস্মিত শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও।

অভিযোগ আছে, অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নিয়োগ কমিটি ও প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন গভর্নিং বডির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক আর্থিক লেনদেরও অভিযোগ আছে। অভিযোগের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

খন্দকার এনামুল বাছিরকে ডিআইজি মিজানুর ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন মর্মে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় এবং এ সংক্রান্ত বেশ কিছু অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার বাছিরকে দুদকের পক্ষ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভিকারুন নিসায় গত ২৭ এপ্রিল সকালে একটি লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এতে মোট ১৫ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। ১০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ভিকারুন নিসার অধ্যক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। অথচ তিনি লিখিত পরীক্ষায় মাত্র সাড়ে ৩ নম্বর পেয়েছিলেন। এখন অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে বর্তমানে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, তিনি ঘুষ দিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে ভিকারুন নিসার অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন।

এদিকে, অধ্যক্ষ পদে অনিয়মের তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, রুমানা যে বাছিরের স্ত্রী- এটি এখনই শুনলাম।

আপনি আরও পড়তে পারেন