ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ দুই আসামির জামিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুরের ওই আদেশ দেন।

আইনজীবী সাবিনা আক্তার (দীপা) যুগান্তরকে বলেন, এদিন আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মামলার চার্জ শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা।

আদালত সূত্র জানায়, ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি শ্রেণী শিক্ষক হাসনা হেনাকে চার্জশিটে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

ওই দুই শিক্ষকের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষক আচরণের কারণে আরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিটে ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, গত বছরের ৩ নভেম্বর পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পরদিন স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি নিয়ে যেতে বলেন।

পরবর্তী সময় প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়।

পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন তার মেয়ে আরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

আরিত্রীকে শান্তিনগরের বাসা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলা করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন