অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে হাতুড়ি পেটায় ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা (২৮) খুন হওয়ার ১৭ দিন পেরোলেও পুলিশ হত্যা মামলার ৭ আসামীর কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। সোহেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় নাটোর-পাবনা সড়কের বনপাড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও বনপাড়া শহর ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। গত ২ জুন উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা দক্ষিনপাড়া এলাকার ঈদগাহ মাঠ সাজানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে একই এলাকার কয়েক যুবক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সোহেল রানাকে হত্যা করে। সোহেল ওই গ্রামের খলিল প্রামাণিকের একমাত্র ছেলে, জেলা আওয়ামী ছাত্রলীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত সোহেলের পিতা খলিল প্রামাণিক বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা (নং ৩ তারিখ ৩/৬/২০১৯) দায়ের করেছে। মামলার আসামীরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে রাজিব (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাগর (২৩), রফিক মৃধার ছেলে নয়ন (২৬), আব্দুস ছামাদ মোল্লার ছেলে সজীব (৩০), মৃত ফয়েজ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০), মৃত ফকির মৃধার ছেলে রফিক মৃধা (৬০) ও মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। মানববন্ধন কর্মসূচীর পালনকালে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বনপাড়া পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল-হেলাল কাফি, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিব সোনার, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াস প্রমূখ। মানববন্ধনে মৃত সোহল রানার পরিবারের সদস্য সহ আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা- কর্মী, এলাকার বিভিন্ন স্তরের সর্ব সাধারণ অংশ নেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে শুধু আসামীরাই নয় পরিবারের সকলেই গা-ঢাকা দিয়েছে। আসামীদের আটক করতে পুলিশ সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।