ফটিকছড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু : পরিবারের অভিযোগ হত্যা

মোস্তাফা কামরুল, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

ফটিকছড়িতে সীমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধু ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রক্তছড়িকুল এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুসের ছেলে দুবাই প্রবাসী মো. শওকত প্রকাশ রমজান অালীর স্ত্রী বলে জানা গেছে। তিনি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা জৈনক করিম উদ্দীনের মেয়ে। ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টটার দিকে শিমু আকতার নামের এক গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে ফটিকছড়ি থানায় নিয়ে যায়। নিহত গৃহবধুর চাচা অাব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, ‘অামার ভাতিজিকে পরিকল্পিতভাবে তারা হত্যা করেছে । রোববার দুপুরে তারা প্রথমে তার মা’কে ফোনে জানান, অাপনার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে। পরে বলেন, অাপনার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে অাত্মহত্যা করেছে। তারা একেকবার একেক ধরনের খবর দেন। অামরা হাসপাতালে গিয়ে তার মৃত লাশ দেখতে পায়। এ ঘটনায় অামরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ জানা যায়, মাত্র ৯ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুসের ছেলে রমজান অালীর সাথে নিহত গৃহবধু সীমার বিয়ে হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই সাংসারিক মনোমালিণ্য লেগে ছিলো। বিয়ের পর গেল রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে অবস্থান করছেন নিহতের স্বামী রমজান অালী। ঘটনার পর থেকে রমজানী অালী পলাতক রয়েছে। অপরদিকে, জিজ্ঞাবাদের জন্য নিহত গৃহবধুর শ্বাশুড়ীকে অাটক করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার এস.অাই অাব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খবর পেয়ে অামরা হাসপাতাল লাশ উদ্ধার করি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ও অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন