রাজৈরে দেবরের কু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় স্কুল শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত

 রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুরুন্নাহারকে তার মাদকসেবী দেবর আনোয়ার বেপারী প্রায়ই কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার কু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মাঝে মাঝেই স্কুল শিক্ষিকাকে মারপিট করত। মঙ্গলবার সকালে আনোয়ারের কুপ্রস্তাবে রাজী না হলে সে তার ভাবীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং হাত ভেঙ্গে দেয়। গুরুতর আহতাবস্থায় ঐ শিক্ষিকা এখন রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব মহেন্দ্রদী। আহত শিক্ষিকা তার দেবরের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা নুরুন্নাহারের স্বামী ঢাকায় রঙের কাজ করে। ছেলে মেয়ে লেখা পড়ার সুবাধে বাইরে থাকে। এই সুযোগে তার মাদকসেবী দেবর আনোয়ার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করত এবং মারপিট করত। মঙ্গলবার সকালেও আনোয়ার ঐ শিক্ষিকার সাথে খারাপ আচরন করে এবং পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। আহত অবস্থায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা স্কুল শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১০ দিন পূর্বেও তার বাম চোখে আঘাত করলে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আহত শিক্ষিকা নুরুন্নাহার জানান, স্বামী সন্তার বাইরে থাকায় আমার দেবর আনোয়ার আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতে প্রায়ই চাপ দিত। আমি রাজী না হওয়ায় আমাকে মারপিট করত। আজ মঙ্গলবার সকালেও আমি তার প্রস্তাবে রাজী না হলে স্কুলে যাওয়ার পথে আমাকে পিটিয়ে আহত করে এবং হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি এখন রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউপ চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বর জানান, আনোয়ার বেপারী নেশা করে এবং তার ভাবীর সাথে খারাপ আচরন করে। আমরা বার বার সালিশ বৈঠক করলেও তার কোন পরিবর্তন হয় নাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার বেপারীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার ভাবী এসব করছে। এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রওনক আরা বেগম এবং সহকারী শিক্ষা শিক্ষা অফিসার সুমঙ্গল রায় হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষিকার চিকিৎসার খোজ খবর নেন এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান, স্কুল শিক্ষিকা নুরুন্নাহার হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এব্যাপারে যথাযথা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন