তীব্র গর‌মের পর স্ব‌স্তির বৃষ্টি

জৈষ্ঠ্যের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নাগরিক জীবন। গরমে চাতকের মতো একপশলা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিল নগরবাসী। অবশেষে নগরে নেমে এলো সেই স্বস্তির বৃষ্টি। ফলে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে৷

ভোর থেকেই আকাশে লক্ষ্য করা যায় মেঘের ঘনঘটা। সূর্যকে গ্রাস করে এক পর্যায়ে মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১০ নাগাত রাজধানীতে বৃষ্টির দেখা মেলে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি না হলেও এর ফলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসে। গরমের তীব্রতা অনেকটা কমে যায়। এই সময়ে বৃষ্টিটা প্রয়োজন ছিল বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয় রাতে। ফ্যানের নিচে বসেও অনেককে অনবরত ঘামতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠে জনজীবন।

গতকালই আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, আজ বৃষ্টি হতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় অবস্থায় বিরাজ করছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৮ ও সর্বনিম্ন কুমারখালীতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাজধানী ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ২ ও সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

আপনি আরও পড়তে পারেন