গোপালগঞ্জে বাস চাপায় মা-ছেলে নিহত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বাস চাপায় মা ও ছেলে নিহত হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার গ্যাড়াখোলা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কে গাছ ফেলে ও তাতে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় সড়কের দু’পাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আবরোধের সময় ১০/১২টি যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে এক শিশু আহত হয়। পরে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা আলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা ওই স্থানে  স্পিডব্রেকার তৈরির আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা সকাল সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

নিহতরা হলেন– মুকসুদপুর উপজেলার ঢাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক এরশাদ খানের স্ত্রী শাওন বেগম (২৭) ও ছেলে সাকিব খান (৭)।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, শাওন বেগম শনিবার সকালে ছেলে সাকিবকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্যাড়াখোলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মা ও ছেলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা আলী বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ জন্য আমি নিহতদের পরিবারে প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমার অনুরোধে স্থানীয়রা সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এ জন্য আমি স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি। আমরা ওই স্থানে স্পিডব্রেকার তৈরি করে দিতে সড়ক বিভাগকে অনুরোধ করবো। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন