বিয়ের ঘণ্টা খানেকের মাথায় তালাক!

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের আসরেই বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের উত্তর পালাহার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বরের নাম সোহেল মিয়া। তিনি একই মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

কনের এক ভাবি বলেন, কাজী সাহেব ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়েটি নিবন্ধন করেন। পরে বাড়ির একটি কক্ষে তিনি বর ও কনেকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে দুধভাত খাইয়ে দিচ্ছিলেন। এ সময় বরপক্ষের এক তরুণ তাকে (কনের ভাবি) জড়িয়ে ধরেন।

বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মারামারির ঘটনার পর কনে বরের বাড়ি যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে গ্রামের মুরুব্বিরা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক তার (কনে) মতামত জানতে চান। কনে তার অবস্থানে অটল থাকেন।

তাই বিয়ের ঘণ্টা খানেকের মাথায় তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ নিবন্ধন করানো হয়। পরে বরপক্ষের লোকজন পুলিশ প্রহরায় কনের বাড়ি ত্যাগ করে।

বরের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, আমি ছেলের জন্য বউ আনতে গিয়েছি। মারামারি করতে নয়। বিয়ের আসরে অনেক কিছু নিয়ে তর্ক হতে পারে। সে জন্য কি বিয়ে ভেঙে দিতে হবে?

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে কনের বাড়িসহ গ্রামের বাড়ির লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কনের নামে জমি লিখে দিতে চেয়েছি। কিন্তু কনের বাড়ি ও গ্রামের লোকজন উল্টো আমাদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে। আমাদের লোকজনকে ঘরে আটকে মারধর করেছে। পুলিশ গিয়ে আমাদের মুক্ত করেছে।

নান্দাইল থানার ওসি মনসুর আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ে বাড়িতে মারামারির ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে শুনেছি দুই পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে বিচ্ছেদ করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন