নবাবগঞ্জে শ্যালো মেশিনে বালু উত্তোলন

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.

বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী পাম্প, খননযন্ত্র (ড্রেজিং) বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও রাজধানীর পাশর্^বর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইলের তেলেঙ্গা এলাকায় এ আইন মানা হচ্ছে না। ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান সাম্প্রতিক কয়েকটি অনুষ্ঠানে অবৈধ বালু ও মাটিকাটা বন্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। তবুও কতিপয় বালুখেকো সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। চক্রটি ফসলি জমিকে পুকুর বানাতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। বহুদিনের এ সিন্ডিকেটটি স্থানীয় প্রশাসনের নজর এড়াতে ব্যবসার ধরণ পাল্টেছে বলে স্থানীয় জমির মালিকদের অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নবাবগঞ্জের কৈলাইল গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম সহ একটি চক্র স্থানীয় দরিদ্র কৃষকদের ফসলি জমি অল্প দামে কিনে নিচ্ছে। এরপর মানুষ সমান করে জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। পরে পুকুর করার নামে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। তা বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কৈলাইল গ্রামের কুতুব আলী বলেন, “সরকারি দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে, শহিদ দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। দেখার কি কেউ নেই?” কৈলাইলের তেলেঙ্গা গ্রামের এক কলেজ ছাত্র বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন কৌশলে কৈলাইল গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম এ মাটি ও বালুর ব্যবসা করে আসছে। এতে রাস্তাঘাটের ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পুকুরে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করলেও ফের একই কাজ করে চলছে।” এবিষয়ে জানতে কৈলাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে সংযোগ দেয়া হলে তিনি বলেন, “দুই-তিন বছর আগে মাটির ব্যবসা বাদ দিছি। আমি অহন ওই ব্যবসা করি না। তয় এইডে আমারই জমি। ২০১৩ সালে কিনছিলাম। কাগজপত্র ঠিক আছে। উপজেলা থিগে ডাঙা কাটনের পারমিশন আনছি। অল্প কয়েক দিন যাবত শুরু করছি। টিকরপুরের একজনরে মাটি কাটবার দিছি। ডাঙা কাটুম ঠেকায় পইরে‌্য এই কাম করতাছি।” ‘পরিবেশ প্রকৃতির ক্ষতি করে কেন অবৈধ ব্যবসা করেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাগো কাছে মাটি বেচতাছি তারা কেউ এই পর্যন্ত এ কতা কয় নাই। কেউ তো বন্ধ করবারও কয় নাই। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা এইচ এম সালাহউদ্দিন মনজু বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন