মোস্তাফা কামরুল, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ির সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানার ওসি’কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারেন, দায়িত্ব আমার। এর সব দায় দায়িত্ব আমি নেবো। কোন মাদক ব্যাবসায়ী, দখলবাজ ও ধর্ষককে ছাড় দেয়া যাবেনা। যারা বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধকর্ম করে তাদেরকেও ছাড় নয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আমার নামও বলে তবে তাকে আগে গ্রেপ্তার করুন।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এবং সমসাময়িক সংগঠিত ঘটনাসমূহের প্রেক্ষাপটে সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফটিকছড়ি উপজেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভন্ন ঘটনা তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংসদ আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, ছিনতাইকারীসহ কোনো অপরাধী ছাড় পাবে না। অপরাধীরা যে দলই করুক না কেন কেউ রেহাই পাবে না। অপারাধের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে এসব অপরাধীদের ধরে এবং প্রয়োজনে ক্রসফায়ার দিয়ে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করেন ।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হল রুেমে আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফীন, উপজেলা চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্জ বাবুল আকতার, ভুজপুর থানা কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জানে আলম, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, নাজিরহাট পৌরসভা মেয়র এসএম সিরাজ উদ দৌলা, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলাইমান, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, রশিদ উদ্দীন চৌধুরী কাতেব, আবু তালেব চৌধুরী, ওহিদুল আলম, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সরওয়ার উদ্দীন চৌধুরী শাহীন, শোয়েব আল সালেহীন, মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সোহরাব হোসেন সৌরভ প্রমুখ।
