ধাক্কা দিয়ে শিশু কন্যাকে নদীতে ফেলে দিলেন সৎমা!

সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁয়ে মায়া বেগম (৫) নামে এক শিশুকে সুরমা নদীতে ফেলে দিলেন তারই সৎ মা সালমা বেগম। ঘটনার পর থেকে ওই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তার সৎ মা সালমাকে আটক করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশু মায়া সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানা এলাকার ফতেহপুর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

বিকেলে জালালাবাদ থানা হাজতে আটক থাকা অবস্থায় সালমা বেগম দাবি করেছেন, তিনি শিশুটিকে নিয়ে সেতুর রেলিংয়ে বসেছিলেন। এসময় অসাবধনতাবশতঃ শিশু নদীতে পড়ে যায়। সালমা বেগম সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ফতেহপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ জানান, শুক্রবার দুপুরে সৎ মেয়ে মায়াকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি মীরেরগাওয়ে যাচ্ছিলেন সালমা বেগম। কুমারগাওয়ে সুরমা নদীর উপর নির্মিত সেতুর উপর আসার পর মেয়েকে নদীতে ফেলে দেন তিনি। পরে জনতার সহায়তায় সালমাকে আটক করা হয়। আর ডুবুরিরা চেষ্টা চালিয়েও সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।

জানা যায়, সালমার মামাতো বোন রাজনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় ফতেহপুর গ্রামের জিয়াউল হকের। বনিবনা না হওয়ায় তাদের ডিভোর্স হয়। ওই দম্পত্তির সন্তান মায়া। রাজনাকে ডিভোর্সের পর সালমাকে বিয়ে করেন জিয়াউল হক। সালমা বেগমও দুই বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জননী। মায়াও এই দম্পত্তির সাথে থাকতেন। শুক্রবার নিজের সন্তানকে বাড়িতে রেখে সতীনের সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি রওয়ানা দেন সালমা। এরপর সেতুতে উঠে মেয়েটিকে নদীতে ফেলে দেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন