ঈদুল আজহার আগে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে বোনাসের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য অতিরিক্ত চার শতাংশ চাঁদাও বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি, শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ এবং সমিতির মহাসচিব মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা জানান, বর্তমানে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পান, যা দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তাই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে ঈদ বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শতভাগ বেতন পেলেও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রয়েছে আকাশ ছোঁয়া বেতন বৈষম্য। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দিয়ে কিছুই হয় না। শিক্ষকরা সারাজীবনে একটি মাত্র টাইমস্কেল পান। যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তারা।
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, এই বেতন বৈষম্য দূর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তারা। তারা বলেন, সরকারিকরণ এখন সময়ের দাবি মাত্র। এ দাবিকে গণ দাবিতে পরিণত করার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতারা।
