হার্টের ব্লক বর্তমান সময়ের সবথেকে আলোচিত এবং আতঙ্কের নাম। চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হতে হতে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পথকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ (ব্লক) করে দেয়াকেই হার্টে ব্লক বলা হয়ে থাকে।
মানবদেহে মারাত্মক একটি সমস্যা হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক। চিকিৎসকের ভাষায় একে ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’ বলে। যাকে আমরা সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া বলে থাকি অথবা হার্ট ব্লক। রোগটি মূলত অতিরিক্ত কোলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে।
হার্ট ব্লকের কারণ :
ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ
হৃদপিণ্ডের প্রদাহ
হৃদপিণ্ডের অনুপ্রবেশ (সারকোয়ডোসিস, নিওপ্লাজম)
হৃদপিণ্ডে আঘাত
জন্মগত
বাধর্ক্য
ওষুধ
হার্ট ব্লকের লক্ষণ :
হৃদপিণ্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়, থামলে ব্যথা কমে যায়।
দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়।
বুকে জ্বালাপোড়া ও ধড়ফড় করে।
গলা, কপাল ও মাথা ঘাম হওয়া।
নিচের দিকে হেলে কিছু করার ও একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়।
খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে।
হার্ট ব্লকের প্রতিরোধ: হার্ট ব্লকের প্রতিরোধের জন্য যা করণীয়-
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
তেল-চর্বি-মিষ্টি কম খেতে হবে।
সুষম খাবার খেতে হবে।
প্রচুর শাকসবজী খেতে হবে।
পরিমিত পানি পান করতে হবে।
ধূমপান, মদ্যপান করা যাবেনা।
উত্তেজনা পরিহার করতে হবে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
চিকিৎসকের পরমর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক কোনো সংক্রামক রোগ নয়। এ রোগ শুধু ওষুধ খেয়ে বা অপারেশন করে ভালো হয় না। ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।