স্ত্রীর ডেঙ্গু নিয়ে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া সেই আইনজীবীর বাসায় মেয়র খোকন

আজ শনিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম একথা জানিয়েছেন। স্ত্রীর ডেঙ্গু হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো আইনজীবীর বাসায় গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “ঢাকার দক্ষিণের মেয়র বাসায় এসেছিলেন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকল কার্যক্রম জোরদার করবেন বলে ঢাকাবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

এদিকে আইনজীবীর বাসা থেকে বেরিয়ে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। নগর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। সব শক্তি দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সম্মানিত নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা সতর্ক থাকবেন। নাগরিকের সতর্কতা এবং কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দিতে পারবো বলে আশা করি। নাগরিকদের বলবো—ভয়ের কিছু নেই, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই; আমরা আপনাদের পাশে আছি।’

আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের বাসায় এই ফল নিয়ে যান সাঈদ খোকনমেয়র আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ এসেছে। বিষয়টির আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার রয়েছে। এটি আইন বিভাগের বিষয়।

যে নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন, মেয়র হিসেবে তার সঙ্গে থাকা, দেখা করা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দায়িত্ববোধ থেকে চলে এসেছি। আমার বোনকে দেখে এসেছি। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি, তাকে আশ্বস্ত করেছি, সবাই মিলে অচিরেই ডেঙ্গুমুক্ত শহর গড়ে তুলবো।’

এর আগে স্ত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত বৃহস্পতিবার ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।

নোটিশে ওই আইনজীবী উল্লেখ করেন, ২৯ জুন আমার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন।

যেহেতু এডিস মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থ, তাই এর দায়ভার তাদের (মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিতে হবে। এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হলো।

ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আগামী তিন দিনের মধ্যে খিলগাঁও ১নং ওয়ার্ডে মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। এসব দাবি না মানলে টর্ট আইন অনুযায়ী যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন তানজিম আল ইসলাম।

আপনি আরও পড়তে পারেন