বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে বিক্রি করতে চায় অ্যামাজন

অনলাইন ব্যবসার ধারণাকে বদলে দেওয়া কোম্পানি অ্যামাজন এবার বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে চায়।

বুধবার (১৭ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাথে অ্যামাজনের প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। এসময় তারা সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রত্যাশা চেয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অ্যামাজনের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দ্বীপ সাগর, মার্চেন্ট সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমানসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা পণ্য ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রির জন্য আগ্রহী অ্যামাজন। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে হলে বিদেশি ক্রেতাকে কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। সে সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য বৈদেশিক বাজারে রপ্তানি করে। অ্যামাজন আমাদের কাছে যে প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছে তা সফল হলে বিশ্ব বাজারে আমদের পণ্য রপ্তানি আরও সহজ হবে এবং অনলাইন ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বড় একটি বাজার আমাদের জন্য উন্মোচিত হবে। এই প্লাটফর্মটিতে আমরা যুক্ত হতে পারলে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা সম্ভব। বিশেষ করে ছোট ছোট পণ্য সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কেনাকাটার জন্য যে বিষয়গুলো প্রতিবন্ধকতা হিসেবে রয়েছে সেগুলো দূর করতে আমরা কাজ করছি। আমরাও চাচ্ছি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের রপ্তানি বাড়ানো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অ্যামাজন আমাদের থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে তাদের ওয়্যারহাউস এ নিতে চায়। এরজন্য বারবার এলসি (লেটার অন কন্সাইন্মেন্ট) ইস্যু করার থেকে একেবারেই করতে চাচ্ছে। একই সাথে ডলারে লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেমন ব্যক্তি হিসেবে বছরে ১০ হাজার ডলার, ব্যবসায়ী হিসেবে ২০ হাজার ডলার এবং এক লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার খরচ করা যায়। এর সীমাও বাড়াতে চায় আমাজন। আর সর্বোপরি স্থানীয়দের দক্ষতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে চায় অ্যামাজন।

আমরা নিজেরাও বসব,  বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে একটি সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন