অন্তর্বাস-বক্ষবন্ধনীতে বাংলাদেশের পতাকার নকশা, বিক্রি হচ্ছে অ্যামাজনে!

২০ জুলাই ২০১৯ ১০:৫০ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ১১:১৭

লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা মানেই শুধু একটি কাপড় নয়। এটি হচ্ছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। তাই জেনে হোক কিংবা অজ্ঞতার কারণে হোক, জাতীয় পতাকার অবমাননা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন বাংলাদেশের পতাকার নকশায় তৈরি অন্তর্বাস, হাফপ্যান্ট বিক্রি করছে। অ্যামাজনের ‘বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ’ অংশে নারীদের অন্তর্বাস ও পুরুষের হাফপ্যান্ট বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, এ ধরনের কাজ জাতীয় পতাকার অবমাননার পর্যায়ে পড়ে।

অ্যামাজনে প্রবেশ করে দেখা যায়, আইন্যান্স, লিঙমেই, সেটফ্ল্যাগসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পতাকার আদলে তৈরি অন্তর্বাস ও হাফপ্যান্ট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এসব অর্ন্তবাস ও হাফপ্যান্ট ১৪ থেকে ২৭ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অন্তর্বাস সবোর্চ্চ ২৭ দশমিক ৯৯ ডলার ও পুরুষে হাফপ্যান্ট সবোর্চ্চ ২১ দশমকি ৯৯ ডলার মূল্য দেখানো হয়েছে।

সাঁতারের জন্য বাংলাদেশের পতাকার নকশা সম্বলিত নারীদের অন্তর্বাস-বক্ষবন্ধনী বিক্রি হচ্ছে ২০ দশমকি ৯০ ডলারে। আর দুই দেশের পতাকার সমন্বয়ে তৈরি প্যান্ট ৩৬ দশমিক ৮৮ ডলার এবং অন্তর্বাস-বক্ষবন্ধনী বিক্রি হচ্ছে ২৫ দশমিক ৮৮ ডলারে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)- এ বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকাকে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, এমনকি গায়েও জড়িয়ে রাখা যাবে না।

২০১০ সালের সংশোধিত পতাকা বিধিমালা অনুসারে, জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধি ভঙ্গ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং কেউ ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা ও তার নকশা ব্যবহার করে পোশাক তৈরি ও বিপণন দেশের আইনের লঙ্ঘন।

বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বাণিজ্যিক কোনো প্রচারণায়, বিজ্ঞাপনে জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধিবহির্ভূতভাবে করে থাকে, তার জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে সরাসরি ব্যবসার অনুমতি নেই অ্যামাজনের। বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট দ্বারা বাংলাদেশে পণ্য বিক্রি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স এই সাইটটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন