বাড়তে শুরু করেছে বাঙালীর পানি

যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বাঙ্গালী নদীর পানি। বগুড়ার গত এক সপ্তাহব্যাপী বন্যায় জেলার তিনটি উপজেলায় ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই যমুনার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে যমুনার পানি বাড়তে বাড়তে ১৮ জুলাই রাত ১২ টায় ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। ১৯ জুলাই সকাল ৯টা থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করে।

বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনার পানি কমলেও শনিবার বেলা ১২ টায় বাঙালী নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে এখন ১১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল সকাল ৯ টায় যমুনার পানি কমে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

শুক্রবারের তুলনায় তিন উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে ৯ হাজার ৬৫৯ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে পাটের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৫শ ১২ হেক্টর, আউস ধানের ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমির, বিভিন্ন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৬১ হেক্টর জমির। ৬২ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ১০ হেক্টার মরিচ নষ্ট হয়েছে। আখের ক্ষতি হয়েছে ৪ হেক্টরের। ২ হাজার ৩শ ৩০ টি ল্যাট্রিন ২হাজার ৭শ ৩৬ টি নলকূপ পানিতে ডুবে গেছে।

বগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৮৫০ পিস পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যালেট বিতরণ করা হায়েছে।

জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলায় ৬শ’ টন জিআর চাল, ১০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ২৬৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় এমপি আব্দুল মান্নান ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রান বিতরণ করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন