মিন্নির জামিন শুনানির আবেদন

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী  মিন্নির জামিন শুনানির আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২১ জুলাই) সকালে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম এ জামিন শুনানির আবেদন করেন। আবেদনের ফলে এ মামলাটি আজ বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে।

মিন্নিকে গ্রেফতারের পর তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর অভিযোগ করেন, মেয়েকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য কোনো আইনজীবী পাচ্ছেন না। গত শুক্রবার মিন্নিকে রিমান্ড শেষে আদালতে নিয়ে গেলেও কোনও আইনজীবী পাওয়া যায়নি। অবশেষে আইনি সহায়তা পেতে যাচ্ছেন মিন্নি।

শনিবার (২০ জুলাই) বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আজ সকালে মিন্নির কাছে কারাগারে ওকালতনামা (মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপত্র) পাঠিয়েছিলাম। দুপুরে মিন্নি সেই ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন। আমরা সেই স্বাক্ষর করা ওকালতনামা পেয়েছি। এখন আমি চেম্বারে মিন্নির পক্ষে জামিনের আবেদন তৈরি করছি। আগামীকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হবে। এরপর আদালত শুনানির অনুমতি দিলে কালই জামিন শুনানি করব।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বরগুনায় আমার মামলা দেখছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে অনেক উকিল আসবেন। এর মধ্যে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও শুনানি করতে আসবেন।

এত দিন বরগুনার আইনজীবীরা মামলা করতে কেন রাজি হননি—এমন প্রশ্ন করলে মিন্নির বাবা বলেন, এখন হয়তো বিবেকের তাড়নায় মামলা করতে চাচ্ছেন। তবে আমি এগুলো মনে রাখতে চাই না। আমার মেয়ে ন্যায়বিচার পাক, এটাই দাবি আমার।

মোজাম্মেল হোসেন বলেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলামের কাছে আজ ওকালতনামা ও কিছু কাগজ দিয়ে এসেছি। আগামীকাল সকালে মিন্নির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে, রিমান্ড শেষে মিন্নিকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী রিফাত শরীফ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন