‘নিজেদের স্বার্থেই ছবি আমদনি করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান’

গেল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি । টানা কয়েক সপ্তাহ চলার পর মুক্তি পায় নিরব অভিনীত ‘আব্বাস’। ছবিটি মুক্তির পর বেশ সাড়া পেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে নামিয়ে কলকাতার ছবি চালানো শুরু করে হল মালিকরা।

কিন্তু বিদেশি ছবির আগ্রাসনে দেশিয় ছবি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কলকাতার দেব-জিতের ছবির কারণে দেশিয় নির্মাতারা ছবি মুক্তি দেওয়ার সাহস দেখাননি। তবে আমদানি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছেন দেশের হল বাঁচাতে বিদেশি ছবি আমদানি করা। কিন্তু এই কথার সঙ্গে একমত নন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা

সাফটা চুক্তির আওতায় ছবি আমদানি করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। কিন্তু আমদানি করা ছবি টানতে পারছে না দর্শক। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় গত ঈদের পর ভারতীয় তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়। ছবিগুলোর মধ্যে ‘কিডন্যাপ’,‘ভোকাট্টা’, ও ‘শেষ থেকে শুরু’। এ তিনটি ছবি হলে দর্শক টানতে পারেনি।

এর আগে বেশকিছু ভারতীয় বাংলা সিনেমাসহ হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও তা ফ্লপ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, হলে নতুন ছবি প্রদর্শন করলেও দেখতে আসেনি দর্শক। শুক্রবার (১৯ জুলাই) জিৎ ও কোয়েল মল্লিকের ‘শেষ থেকে শুরু’ ছবিটি দেখতে হলে দর্শক আসছে না। এর আগে গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া দেবের ছবিটি দর্শক দেখতেই আসেনি।

শ্যামলী হলে মুক্তি পেয়েছে ‘শেষ থেকে শুরু’। এই হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা ধ্বংসের জন্য বিদেশি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। জিতের এই ছবিটির বদলে দেশের যে কোনো নায়কের ছবি হলে অনেক বেশি দর্শক হলে আসতো।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন