পাকস্থলী প্রদাহ, অ্যাসিডিটি ও যৌনরোগ

গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করা, টক টক ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব ও বমি করা, খাওয়ার আগে বা পরে পেটব্যথা, পেটফাঁপা, টকজাতীয় খাবার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে। এসব উপসর্গযুক্ত রোগীর নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে তা কালক্রমে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আর সেই ক্ষতের নামই পেপটিক আলসার বা ডিওডেনাল আলসার।

এ রোগে আক্রান্তের ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো লক্ষ্য করা যায় তা হলো-খাবার আগে বা পরে প্রচণ্ড পেটব্যথা, বমি বমি ভাব, এমনকি মাঝে মধ্যে বমি হওয়া, খাবারে অরুচি, পেটফাঁপা, পেট থেকে পিঠ পর্যন্ত ব্যথা, মলের রঙ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া। গ্যাস্ট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসারে আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, ষষ্ঠিমধু, খয়ের, মঞ্জিষ্টা, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, ইসবগুল, বাবলাগাম ইত্যাদি খুব কার্যকর। আমাদের দেশে নিসেরি, গনোকক্কাস, ইকলি, বিকলি ইনফেকশন জীবাণু গঠিত সংক্রমণের মধ্যে মূত্রনালির সংক্রমণ ও যৌনরোগ অন্যতম।

মূত্রনালিতে সংক্রমণের উপসর্গ হলো, একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ আসা এবং ধীরগতিতে প্রস্রাব নির্গত হওয়া, প্রস্রাব করার সময় মূত্রনালিতে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের রঙ গাঢ় বাদামি হতে পারে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে প্রস্রাবের রঙ লালচে হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, যদি কোনো নারীর যৌনরোগবাহিত সংক্রমণ হয়, তবে যৌনাঙ্গ দিয়ে স্রাব ও পুঁজ নিঃসৃত হওয়া, চুলকানি, দুই নালে প্রস্রাব বের হওয়া, জ্বর হওয়া ও বমি বমি লাগা এমনকি বমি হওয়া, তলপেটে ও অ-কোষে ব্যথা মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিকারে গোরকাটা, পাথরকুচি পাতা, গুলঞ্চ, নিম তেল, শ্বেতচন্দন ইত্যাদি খুব কার্যকর।

লেখক : হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক

আপনি আরও পড়তে পারেন